Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

২৩ জানুয়ারি থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর ব্যাপারে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ একমত হয়েছে। প্রথম ধাপে হিন্দু ও মুসলমানসহ ১২৫৮ জন শরণার্থীকে ফেরত নিতে চায় মিয়ানমার। ইউএনবি’র খবর।

মিয়ানমারের অধিবাসী হিসেবে পরিচয় যাচাই করা হয়েছে এমন ৫০৮ জন হিন্দু ও ৭৫০ জন মুসলিমের তালিকা বাংলাদেশকে দিয়েছে মিয়ানমার। প্রথম ধাপে এদেরকে মিয়ানমার ফেরত নিতে চায় বলে দেশটির তথ্যমন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়।

এরআগে মিয়ানমারের সামাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী উইন মিয়াত আয়ে বলেন, বাংলাদেশ থেকে যে রোহিঙ্গা মুসলিম ও হিন্দু শরণার্থী মিয়ানমারে ফিরবেন তাদের প্রত্যাবাসন ২৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে। মিয়ানমারের এ মন্ত্রী বলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে আমরা শরণার্থীদের ফেরত নেয়ার কাজ শুরুর পরিকল্পনা করছি। আশা করছি, সঠিক সময়েই এ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে।

তিনি আরো বলেন, তাদের আশ্রয়ের জন্য একটি শিবির নির্মাণের কাজ আগামী সপ্তাহে শেষ হবে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এ শিবিরের কাজ শেষ হবে। আপাতত ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে অস্থায়ীভাবে রাখার ব্যবস্থা করা হবে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের অব্যাহত সহিংসতা ও জাতিগত নির্মূল অভিযানের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় ৭ লাখের মতো রোহিঙ্গা। এদের ফেরত নেয়ার খুঁটিনাটি ঠিক করতে মিয়ানমারের প্রশাসনিক রাজধানী নেইপিদোতে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পরপরই প্রত্যাবাসনের খবর প্রচার করে গ্লোব্যাল নিউ লাইট ফর মিয়ানমার। সোমবারের বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে গত ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিটির বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মপন্থা ও খুঁটিনাটি ঠিক করা।

গ্লোব্যাল নিউ লাইট ফর মিয়ানমার–এর খবরে আরও বলা হয়, রাখাইন রাজ্যের উত্তরাংশের হ্লা পো খাউং এলাকায় ফিরিয়ে নেয়া রোহিঙ্গাদের রাখা হবে। সেখানে তাদের জন্য অস্থায়ীভাবে একটি আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করা হবে। এটি হবে একান্তভাবেই একটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র বা ট্রানজিশন ক্যাম্প। রোহিঙ্গারা নিজেদের নিজ নিজ বাড়িঘরে ফিরে যাবার আগে এই অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে থাকবে। পত্রিকাটির ভাষায়, যেসব লোককে ‘পদ্ধতিগতভাবে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য গ্রহণ করা হবে’ তাদেরকেই এই ক্যাম্পে রাখা হবে। হ্লা পো খাউংয়ে ১২৪ একর জায়গার ওপর তৈরি করা হবে এই অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র। এতে মোট ৬২৫টি বিল্ডিং বা স্থাপনা থাকবে। এর মধ্যে ১০০টি বিল্ডিং নির্মাণের কাজ শেষ হবে চলতি জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে।

 

সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন