Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

২১ ডিসেম্বর বান্দরবানে রাজস্ব আদায়ের উৎসব

bandarban-king-1-12

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বান্দরবান বোমাং সার্কেলের ঐতিহ্যবাহী রাজস্ব আদায়ের উৎসব ২১ ডিসেম্বর। ১৩৯ তম রাজপুণ্যাহ স্থানীয় রাজার মাঠে তিন দিনব্যাপী শুরু হবে। জুমচাষী প্রজাদের কাছ থেকে খাজনা বা জুম রাজস্ব আদায়ে এ উৎসব সফল করতে রাজবাড়ীতে ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার শহরে উজানী পাড়ার রাজপরিবার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বোমাং সার্কেল চীফ প্রকৌশলী উ চ প্রু চৌধুরী। তিনি জানান, জুম খাজনা আদায়ের জন্য বোমাং রাজারা ১৮৭৫ সাল থেকে রাজপূণ্যা উৎসব করে আসছে। তবে ১৯৯০-এ দশকে ১৪তম বোমাং রাজা মংশৈ প্রু চৌধুরী মৃত্যুর পর দুই বছর রাজপূণ্যা হয়নি।

১০৯টি মৌজার হেডম্যান (মৌজা প্রধান) ও কারবারী ( গ্রাম প্রধান) অংশ নেবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল থাকার কথা রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে রাজপরিবারে সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

রাজ প্রসাদ-রাজ সিংহাসন না থাকলেও এদিন রাজকীয় আচার আচরন এবং রীতি রেওয়াজ পালন করে প্রজারা মাথা ঝুঁকিয়ে রাজা বাহাদুরকে প্রণাম করে জুমের বাৎসরিক খাজনা প্রদান করেন। বাৎসরিক খাজনা আদায়ের উৎসবকে মার্মা সম্প্রদায়ের কাছে রাজপুণ্যাহ উৎসব ‘পইংজারা’ নামে পরিচিত।

১৩৯ তম রাজ পুণ্যাহ পাহাড়ী-বাঙ্গালীদের মিলন মেলায় পরিণত হয়। এ ছাড়া দেশি- বিদেশী পর্যটকরাও সেখানে ভিড় জমান।

পার্বত্য চট্টগ্রামে তহশিলদার প্রথা নেই। সরকারের পক্ষে রাজারাই বার্ষিক খাজনা আদায় করেন। আদায়কৃত খাজনার ৩৭ শতাংশ রাজা, ৩৭ শতাংশ মৌজা হেডম্যান এবং অবশিষ্ট অংশ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়। সরকারের পক্ষে ভূমিকর আদায় উপলক্ষে বোমাং সার্কেলে প্রতিবছর এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। রাঙামাটি জেলার ১৪টি মৌজাসহ বোমাং সার্কেলভুক্ত ১০৯টি মৌজার হেডম্যান-কার্বারিরা রাজপ্রথা অনুসরণ করে এদিনে সার্কেল চিফ বা রাজাকে আনুষ্ঠানিক প্রণাম জানিয়ে কর পরিশোধ করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃটিশ শাসনামলে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলাকে তিনটি সার্কেলে বিভক্ত করে খাজনা আদায় করা হতো। ১৮৬৬ সাল পর্যন্ত চাকমা রাজা পার্বত্য এলাকা শাসন করতো। ১৮৬৭ সালে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ অঞ্চলের মারমা অধ্যুষিত এলাকাকে বোমাং সার্কেল, ১৮৭০ সালে রামগড় ও মাইনি উপত্যকার এলাকাকে নিয়ে মং সার্কেল গঠিত হয়। এসময় রাঙামাটিকে চাকমা সার্কেল, বান্দরবানকে বোমাং সার্কেল এবং খাগড়াছড়িকে মং সার্কেল করা হয়।

প্রায় ১৭৬৪ বর্গমাইল এলাকা নিয়ে বান্দরবান বোমাং সার্কেল। দুইশ বছরের ঐতিহ্য অনুসারে বছরে একবার এই মেলার আয়োজন করা হয় বোমাং সার্কেলের পক্ষ থেকে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন