১৬২ আরোহী নিয়ে নিখোঁজ বিমান ‘এয়ার এশিয়া’র অনুসন্ধান মেলেনি এখনো

এয়ার এশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

ইন্দোনেশিয়া থেকে সিঙ্গাপুরগামী একটি যাত্রীবাহী এয়ার এশিয়া বিমান নিখোঁজ রয়েছে। বিমানটিতে ক্রুসহ ১৬২ জন যাত্রী ছিল। রোববার বিমানটি ইন্দোনেশিয়ার সুরবায়া থেকে যাত্রা করার পর এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির যোগাযোগ মন্ত্রণালয়।

যোগাযোগ মন্ত্রণালয় কর্মকর্তা হাদী মোস্তফা জানান, যোগাযোগ হারিয়ে যাওয়া বিমানটির নাম্বার- কিউজি ৮৫০১। জাকার্তার বিমান নিয়ন্ত্রণ টাওয়ারের সঙ্গে সর্বশেষ সকাল ৬ টা ১৭ মিনিটে যোগাযোগ করা হয়েছিল। শেষ যোগায়োগের পূর্বে অন্য একটি রুটে চলে যায় বিমানটি। বিমানটির সকাল সাড়ে আটটায় সিঙ্গাপুরে পৌঁছার কথা ছিল।

ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘নিখোঁজ বিমানটির অনুসন্ধান এবং উদ্ধার অভিযান চলছে। এ কাজে আমাদের পুরোপুরি সহযোগিতা করছে এয়ার এশিয়া।’

এদিকে সিঙ্গাপুর জানিয়েছে, তাদের বিমান বাহিনী এবং নৌ বাহিনী নিখোঁজ বিমানের অনুসন্ধান অভিযানে সহায়তা করবে। সিঙ্গাপুরের সিভিল এভিয়েশন অথরিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘অভিযানে অংশ নেয়ার জন্য সি১৩০’য়ের দুটি বিমান প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া বিমানটির অনুসন্ধান এবং উদ্ধার অভিযানে যে কোনো ধরণের সহায়তার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’

এয়ার এশিয়ার নিখোঁজ বিমানের ঘটনাবলী পর্যবেক্ষণ করছে হোয়াইট হাউস। রোববার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র এরিক স্কুলটেজ ‘নিউইয়র্ক টাইমস’কে বলেছেন, তারা নিখোঁজ বিমানের বিষয়টি প্রেসিডেন্ট ওবামাকে জানিয়েছেন। তিনি বর্তমানে হাউয়াই দ্বীপে ছুটি কাটাচ্ছেন। এছাড়া গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা।

ইন্দোনেশিয়ার অন্য এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিমানটিতে সবমিলিয়ে ১৫৫ জন যাত্রী ছিল। এদের মধ্যে ১৪৯ জনই ইন্দোনেশীয় যাত্রী। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ার তিন এবং সিঙ্গাপুর, মালেশিয়া এবং ফ্রান্সের একজন করে যাত্রী রয়েছে।

বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার খবরের সত্যতা স্বীকার করে এয়ার এশিয়া তাদের ফেসবুকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,‘আমরা দু:খের সঙ্গে জানাচ্ছি, কিউজেড-৮৫০১ ফ্লাইটটি নিখোঁজ হয়েছে। এ বিমানের যাত্রী এবং ক্রুদের ভাগ্যে কী ঘটেছে এ মুহূর্তে আমরা তা বলতে পারছি না।’

এদিকে দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়ছে না এয়ার এশিয়া’র। ২০১৪ সালে তাদের তিন তিনটে বিমান খোয়া গেল। এর আগে একবারও দুর্ঘটনায় পড়েনি এয়ার এশিয়ার কোনো বিমান। যাত্রী সেবা এবং অপেক্ষাকৃত কম খরচের জন্য এই কোম্পানির বেশ সুনামই রয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ৮ই মার্চ ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল মালয়েশিয়ার এমএইচ৩৭০ বিমানটি। কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে এটি হারিয়ে যায়। ব্যাপক অনুসন্ধান চালানোর পরও এর ভাগ্যে কী ঘটেছিল সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। খুঁজে পাওয়া যায়নি কোনো ধ্বংসবশেষ। তাই মালয়েশিয়ার ‘নিখোঁজ’ বিমানটি এখনও রহস্য হয়েই রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন