হোয়ানকে চিংড়ি ঘের দখল নিয়ে হামলায় বৃষ্টির মত গুলি বর্ষণ, গুলিবিদ্ধ ১৫
মহেশখালী প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার হোয়ানকে আলোচিত ২ সন্ত্রাসী বাহিনীর বন্দুক যুদ্ধে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ১৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। স্থানীয় কেরুনতলী গ্রামের হেতালিয়া চিংড়ী ঘের ও লবণ মাঠের দখল বেদখল নিয়ে বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যে সোমবার রাত ৩টা থেকে শুরু হওয়া এই ঘটনায় বৃষ্টির মত গুলি বর্ষণ হয়েছে বলে এলাকাবাসীর দাবী। উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের কেরুনতলী গ্রামের আকতার হামিদ গ্রুপ ও ফেরদৌস গ্রুপ বৃষ্টির মতো গুলি বর্ষণ করে।
জানা গেছে, হোয়ানক কেরুনতলীর হেতালিয়া ঘোনা নিয়ে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন নিহত ও আহত হয়েছে। আধিপাত্য বিস্তার করতে উভয় পক্ষ প্রতি রাতে হেতালিয়া ঘোনায় অস্ত্র সহকারে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীদের গুলি বর্ষণের ফলে গ্রামবাসীরা নিরুপায় হয়ে পড়ছে। গুলির মুহুর্মুহু শব্দে রাতে সাধারন মানুষ ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এলাকার সাধারন মানুষ র্দীঘদিন ধরে ওই দুই বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। হোয়ানকের বিবাদমান ২টি সন্ত্রাসী গ্রুপ চিংড়ী ঘের দখলবেদলকে কেন্দ্র করে এলাকায় আধিপাত্য বিস্তার করে যাচ্ছে দিনের পর দিন। চিংড়ী ঘের দখল নিয়ে সৃষ্ট বন্দুক যুদ্ধে আহতদের মধ্যে কয়েক জনের পরিচয় জানা গেছে, তারা হলেন নুরুল হক(৪৫), সাহাব উদ্দিন(২৭), ছলিম উল্লাহ (৩৪)। এরা সকলেই হোয়ানক এলাকার বাসিন্দা। ছলিম উল্লাহর পায়ে গুলির আঘাত থাকায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজারে প্রেরন করা হয়েছে।
বাকীদের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আহতরা ফেরারী আসামী হওয়ার কারনে গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
মহেশখালী থানার ওসি বাবুল চন্দ্র বনিক জানান, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং হোয়ানকের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আমাদের পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন রাখতে পুলিশ সব সময় প্রস্তুত রয়েছে।