সড়ক জুড়ে তীব্র যানজট: হাতিয়ে নিচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া

উখিয়া প্রতিনিধি:

উখিয়ায় ভয়াবহ যানজটে নাকাল যাত্রীরা। সড়ক জুড়ে শত শত গাড়ি ও হাজার হাজার নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের ভিড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা যানবাহনকে আটকা পড়তে হয়। যানজট নিরসনে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। এ সুযোগে যাত্রীদের কাজ থেকে জোরপূর্বক গলা কাটা ভাড়া আদায় করছে ড্রাইভাররা। তবে মাত্রা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে প্রতিদিন অসংখ্য ঘটনা সৃষ্টি হচ্ছে।

অতি সম্প্রতি মায়ানমার হতে নির্যাতিত হয়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গা নাগরিক প্রতিদিন বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নিচ্ছে। গত ১৬ দিনে বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশকারী আড়াই লক্ষ রোহিঙ্গা কুতুপালং, টিএন্ডটি, টিভি টাওয়ার, বালুখালী, থাইংখালী, মোছার খোলা, মনখালী, শাপলাপুর, হোয়াইক্যং, লম্বা বিল, নয়া পাড়া, লেদা, মচুনিসহ লোকা লয়ে ছড়িয়ে পড়েছে।

সরজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায়, হাজার হাজার রোহিঙ্গা সড়ক জুড়ে অবস্থান করছে। তাদের বেপরোয়া চলা ফেরার কারণে সড়ক অচল হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ত্রাণ ও খাবার সংগ্রহে ক্ষুধাত্ব রোহিঙ্গা নারী পুরুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে। এ সমস্যার কারণে সড়ক যেন এক অঘোষিত অবরোধের কবলে পড়ে। অন্য দিকে রোহিঙ্গাদের দেখভাল করার জন্য শত শত বিভিন্ন সংস্থার গাড়ি আশা যাওয়া শুরু করেছে।

বর্তমানে কোটবাজার, উখিয়া সদর স্টেশন, কুতুপালং, টিভি টাওয়ার, বালুখালী ও থাইংখালী সহ টেকনাফ সড়কের প্রত্যেকটা স্টেশনে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ২০ মিনিটের যাতায়াতের স্থলে ১ ঘন্টা থেকে ২ ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগছে।

ট্রাফিক পুলিশের এসআই সাঈদ মিয়া জানান, বর্তমানে সড়কের যানবাহনের সংখ্যা খুবই বেড়ে গেছে। স্বল্প পুলিশের সদস্য দিয়ে যানজট নিরসন করা খুবই কঠিন।

গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, এ সুযোগে সিএনজি, টমটম, মাইক্রো, চার-পোকা সহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ২০ টাকার স্থলে ৫০ টাকা এমনকি ৫০ টাকার স্থলে ১৫০ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে ড্রাইভাররা। কেউ দিতে না চাইলে ওই যাত্রীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। এ নিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য ঝগড়া বিবাধ লেগে আছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাউলা মার্মা তীব্র যানজটের ঘটনা সত্যতা শিকার করে বলেন, চেষ্টা করে যাচ্ছি যানজট কমিয়ে যাত্রীদেরকে দুর্ভোগ কমানোর জন্য।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন