Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

স্বামী ও তিন সন্তানকে বেঁধে বাঙালী গৃহবধুকে গণধর্ষণ করলো মারমা ইউপি মেম্বারের নেতৃত্বে ৭ নরপশু

গণধর্ষণ

নিজস্ব প্রতিনিধি:

স্বামী ও তিন সন্তানকে বেঁধে রেখে তাদের চোখের সামনে বাঙালী গৃহবধুর মুখে কাপড় গুঁজে পাশবিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করেছে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলাধীন ১ নং রাজানগর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মারমা উপজাতীয় মেম্বার চিংনুমং মারমার নেতৃত্বে ৭ নরপশু। জঙ্গল বগাবিল এলাকার এ বাঙালী গৃহবধু পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে রাঙামাটি সদর জেনারেল হাসপাতালের গাইনী বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নির্যাতিতার স্বামী ইলিয়াছ অভিযোগ করে বলেন,  গত ১৮ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের অন্ধকারে পরিবারের সবাই যখন  ঘুমে মগ্ন তখনই ধর্ষক দল ঘরের বেড়া কেটে ভেতরে ঢুকে। আমাকে ও অামার বাচ্চাদের হাত পা বেঁধে, মুখে গামছা ঢুকিয়ে দেয়া হয়। পরে আমাকে ঘরের ভেতরে রেখে আমার স্ত্রীকে টেনে হিচড়ে ঘরের বাইরে নিয়ে ওয়ার্ড মেম্বার চিংনুমং মারমার নেতৃত্বে তারই চৌকিদার নুরুন্নবী, মেম্বারের বন্ধু ইসলামপুর ইউনিয়নের সন্ত্রাসী রনি ও বেতবুনিয়ার জনৈক মঞ্জুসহ সাতজন (বাকিদের মুখ বাধা থাকায় চিনতে পারেননি) পালাক্রমে  মিলে ধর্ষণ করে ।

ধর্ষিতা গৃহবধু ও তার স্বামী দু’জনই এই ধর্ষকদের চিনতে পারেন। পরবর্তিতে ধর্ষকরা তাদের মোবাইল ফোন ও গচ্ছিত টাকা-পয়সা নিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় তার স্ত্রী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার বা হাতের বুড়ো আঙ্গুল কেটে ছিঁড়ে যাবার উপক্রম হয়। এসময় প্রচুর রক্তক্ষরণ ও শারিরীক নির্যাতনে গুরুত্বর আহত হয়ে মাটিতে পড়ে থাকেন দীর্ঘক্ষণ।

সকালে ব্যাপারটি এলাকাতে জানাজানি হওয়ার পর থেকে জনপ্রতিনিধি ওয়ার্ড মেম্বার চিংনুমং মারমার ও তার সহযোগিরা নির্যাতিতাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছেন। ফলে তারা থানায় মামলা দিতে সাহস পাচ্ছেন না।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত  মেম্বারের সাথে কথা বলতে তার এলাকাতে গেলে তার খোঁজ পাওয়া যায়নি এবং তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

স্থানীয় রাজানগর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জামাল উদ্দিন মোস্তফা জাহাঙ্গীরের কাছে ধর্ষণের সত্যতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ঘটনাটি শোনার সাথে সাথে নির্যাতিতা ও পরিবারের লোকজনকে দেখতে গিয়েছিলাম। দেখে মনে হয়েছে, ঘটনাটি সত্য। সাথে সাথে আমি চিকিৎসার জন্য কিছু টাকা দিয়েছি এবং  মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি।

রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ রশ্মি চাকমা জানিয়েছেন, ভিকটিমের শারিরিক অবস্থা দেখে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে যে, তিনি যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, কারণ তার সারা শরীরে ব্যথা ও হাতের আঙ্গুলে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তারপরও তাকে গাইনী বিশেষজ্ঞ দিয়ে পরীক্ষা করানোর পর বিস্তারিত বলা যাবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন