স্ত্রী হত্যার দায়ে গুইমারা ছাত্রলীগ সভাপতির থানায় আত্মসমর্পণ

গুইমারা প্রতিনিধি:

গুইমারা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাগর চৌধুরি (ওম) স্ত্রী হত্যার দায়ে পুলিশের নিকট আত্মসমর্পণ করেছে। বৃহস্পতিবার(৪ অক্টোবার) সকাল ১০.৪৫ মিনিটের সময় সে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে।

স্বজনদের অভিযোগ, গত শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে শারীরিক নির্যাতনে স্ত্রী মাধবী রাণী রায় পিংকি(২৫) মারা যায়। এরপর মাটিরাঙ্গা হাসপাতালে তার মৃতদেহ রেখে পালিয়ে যায় সাগর চৌধুরী। গত রবিবার পিংকির বৃদ্ধা মা মঞ্জু রাণী রায় গুইমারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় একমাত্র সাগর চৌধুরিকে আসামি করা হয়। ঘটনার পর থেকে সাগর গা ঢাকা দেন। এর পর আজ সকালে সাগর থানায় যায়।

বিয়ের পর থেকেই তাদের দুজনের মধ্যে বনিবনা ছিল না। সাগর তাকে প্রায়ই মারধর করতো। কিছুদিন আগেও অমানুষিকভাবে পিংকিকে নির্যাতন করে সাগর। এ কারণে উচ্চ শিক্ষিতা স্ত্রী পিংকি গুইমারায় স্বামীর বাড়িতে আসতেন না। দেন দরবার করে সপ্তাহখানেক আগে সাগর তাকে নিয়ে আসে।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায় শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুজনের মধ্যে ঝগড়াঝাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে সাগর তাকে বেদম মারধর করে। গুরুতর অবস্থায় মাটিরাঙ্গা হাসপাতালে নেওয়ার পথে পিংকি মারা যায়। পরে সাগর মাটিরাঙ্গা হাসপাতালে তার মৃতদেহ রেখে কৌশলে পালিয়ে যান। সাগরের পরিবার থেকে এলাকায় প্রচার করা হয় পিংকি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গলায় ফাঁসের চিহ্ন বা আত্মহত্যার কোন আলামত দেখা যায়নি। তবে তার শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন ছিল।

পুলিশের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্টেও পিংকির শরীরে আঘাতের অনেক চিহ্ন থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পিংকির মা মঞ্জু রাণী রায় গত রবিবার ফেনী থেকে এসে সাগর চৌধুরিকে একমাত্র আসামি করে গুইমারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।মামলা নং-৫।

এবিষয়ে গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন সাগর নিজে থানায় এসে পুলিশের নিকট সেরেন্ডার করেছে। তার নিকট থেকে এখনো হত্যার স্বীকার উক্তিমূলক কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে আদালতে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে হাজির করা হলে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন