স্কুল মাদরাসা আন্ত:ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল যেন রণক্ষেত্র: সাংবাদিকসহ আহত-১০

pic pekua football copy

পেকুয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজার জেলার পেকুয়ায় মাধ্যমিক স্কুল মাদরাসা আন্ত:ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় শীলখালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পেকুয়া মডেল জিএমসি ইনষ্টিটিউশন বনাম বারবাকিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলোয়াড়দের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। খেলা শুরু হাওয়ার আগেই মাঠের কানায় কানায় দর্শকদের ভরপুর হয়ে যায়। নির্ধারিত সময়ে পেকুয়া মডেল জিএমসি ইনষ্টিটিউশনের খেলোয়াড় রাসেল ও হাসান বারবাকিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়কে একে একে ২ টি গোল করে দলের বিজয় নিশ্চিত করেন।

এদিকে গোল হাওয়ার পর পরই মাঠে উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করে। খেলার শুরু থেকে বারবাকিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলোয়াড়রা মারমুখী অবস্থান করে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বারবাকিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলোয়াড়রা সেই কাক্ষিত গোল শোধ করতে পারেনি। ফলে পেকুয়া মডেল জিএমসি ইনষ্টিটিউশনের খেলোয়াড়রা ২-০ গোলে বারবাকিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন অর্জন করে। আর দুপক্ষের সমর্থকদেরও উত্তেজনাকর অবস্থানের কারণে খেলার শেষ হতে না হতেই সংঘর্ষে লেগে যায়। এ সংঘর্ষে সাংবাদিক খেলোয়াড় সহ অন্তত ১০ ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী খেলার দর্শকরা জানায়, খেলা শেষে মাঠ থেকে বের হতেই বারবাকিয়ার দর্শকরা পেকুয়া মডেল জিএমসি ইনষ্টিটিউশনের খেলোয়াড় রাসেলকে আক্রমণ করে এ সময় দু’স্কুলের শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে রাসেল উদ্ধার পেলেও পুরো এলাকায় জুড়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে পেকুয়ার লোকজনের ওপর বারবাকিয়া ও শিলখালীর লোকজন সম্মিলিত হামলা শুরু করলে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণিত হয়। সংঘর্ষের ছবি তুলতে গেলে স্থানীয় সাংবাদিক এফএম সুমনকে বারবাকিয়ার সমর্থকরা আক্রমণ করে গুরুতর আহত করে। দু বিদ্যালয়ের খেলোয়াড়দের স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় কোন রকম মঞ্চে এনে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ও রানার আপ ট্রফি হাতে তুলে দেন পেকুয়া উপজেলা পরিষদের দু দু বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু।

এসময় উপস্থিত ছিলেন পেকুয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান, পেকুয়া উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও পেকুয়া জিএমসি ইনষ্টিটিউশনের সাবেক প্রধান শিক্ষক এএম শাহজাহান, শিলখালী ইউপির চেয়ারম্যান নুরুল হোছাইন, শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইব্রাহিম, জিএমসির প্রধান শিক্ষক জহিরউদ্দিন, বারবাকিযা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক, আওয়ামীলীগ নেতা কাজীউল ইনসান প্রমূখ।

খেলার শুরু থেকে পুলিশ মোতায়েন থাকায় আরো বড় ধরণের সংঘর্ষের ঘটনা থেকে রক্ষা হয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে। উল্লেখ্য ২৪ আগষ্ট পেকুয়া শহীদ জিয়া ক্রীড়া কমপ্লেক্সে দু দলের ফাইনাল খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়ে বিতর্কিত গোলের সূত্র ধরে সংঘর্ষের সৃষ্টি হলে ঘটনাস্থলে পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু খেলাটি অমীমাংসিত ঘোষণা করে বারবাকিয়া পেকুয়ার বাইরে নিরপক্ষ ভ্যানু শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিলে খেলাটির শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও জিএমসির খেলোয়াড় রাসেলকে হামলা করলে এ সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন