সোমবার থেকে রাঙামাটিতে ৩ দিনব্যাপী বিজু মেলা শুরু

রাঙামাটি

স্টাফ রিপোর্টার:

পার্বত্যাঞ্চলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু -সাংগ্রাইং-বৈসুক-বিষু মেলা সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে। এ সাংস্কৃতিক উৎসবটিকে সামনে রেখে পাহাড়ের সর্বত্র এখন সাজ সাজ রব। রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গনে বসনো হয়েছে বিভিন্ন স্টল । গ্রহণ করা হয়েছে নানা বর্ণাঢ্য কর্মসূচিও।

এবারের মেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর স্টলে থাকবে ঐতিহ্যবাহী পণ্য, খাবার ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। উৎসবে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা থেকে বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক দল নিজ নিজ ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করবে।

এছাড়াও রয়েছে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, ম্রো, বম, চাক, পাংখোয়া, লুসাই, খুমী ও খিয়াং নৃ-গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী নিত্য ব্যবহার্য দ্রব্যাদি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর জীবনধারার ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। তাছাড়া জুম্ম খেলাধূলা এবং শিশু চিত্রাংকন প্রতিযোগিতাসহ চাকমা নাটক।

মেলা উদ্বোধন করবেন-রাঙামাটি সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু। এ সময় উপস্থিত থাকবেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন, জেলা পরিষদের সদস্য সান্তনা চাকমা।

এ বিষয়ে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট ভারপাপ্ত পরিচালক রুনেল চাকাম জানান, পাহাড়ের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ১০টি ভাষাভাষির ১১টি জাতিগোষ্টি তাদের নিজস্ব নিয়মে বিজু-সাংগ্রাই-বৈসুক-বিষু পালন করে থাকে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির সংমিশ্রনে বৈসাবী এক বৈচিত্রময় রূপ ধারণ করে।

তাই উৎসবটিকে সামনে রেখে রাঙামাটিতে ৩দিন ব্যাপী আয়োজন করা হয়েছে বিজু -সাংগ্রাইং-বৈসুক-বিষু মেলা। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, পাহাড়ি-বাঙালিসহ সব ধর্ম, বর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সম্প্রীতির মিলন ক্ষেত্র পরিণত হবে মেলা প্রাঙ্গণে। মেলা চলাকালিন স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন