Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

সেনাবাহিনীর চিকিৎসার পর ফুটবলে ফেরার স্বপ্ন দেখছেন সাথুইমা মারমা

%e0%a6%9c%e0%a6%9a%e0%a6%9a%e0%a6%9a%e0%a6%9f

রাঙামাটি  প্রতিনিধি:

বাংলাদেশে জাতীয় অনুর্ধ-১৪ দলের খ্যাতিমান নারী ফুটবলার, রাঙামাটির সাথুইমা মারমা এখন অনেকটাই সুস্থ। চট্টগ্রাম সিএমএইচ হাসপাতালে গত ৩০ অক্টোবর রবিবার সকালে অস্ত্রোপচার করে সেনাবাহিনীর বিশেজ্ঞ চিকিৎসকরা। ইতোমধ্যে আইসিইউ থেকে তাকে পোস্ট অপারেটিভ কেয়ারে নেয়া হয়েছে। হাসপাতালের বেডে শুয়ে সাথুইমা মোবাইলে কথা বলেন পার্বত্যনিউজের সাথে।

শারিরীক অবস্থা সম্পর্কে সাথুইমা বলেন, তার প্রাথমিক ব্যান্ডেজ কেটে দেয়া হয়েছে। নতুন করে ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি পা নাড়াতে পারছেন। ডাক্তাররা বলেছেন, আগামী সপ্তাহে ব্যান্ডেজ খুলবেন। এরপর ছেড়ে দিতে পারেন। তবে ৩/৪ মাস বিশ্রামে থাকতে হবে।

চিকিৎসা সম্পর্কে সাথুইমা বলেন, ২০১৫ সালের এপ্রিলে ঢাকায় প্রশিক্ষণের সময় তার পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায়। ফেডারেশন মাঠে প্রশিক্ষণের সময় এ ঘটনা ঘটে। এরপর ফেডারেশন কর্মকর্তারা ৩ হাজার টাকা দিয়ে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু বাড়িতে ফিরে আসার পর রাঙামাটির ফুটবল কোচ তাকে রাঙামাটিতে এক ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। তিনি এক্সরে করে পা ব্যান্ডেজ করে দেন। কিন্তু তাতে ভাল হননি। আর্থিক সামর্থ না থাকায় উন্নত  চিকিৎসা করানো তার পরিবারের পক্ষে সম্ভব ছিলো না। ফলে জাতীয় দলের হয়ে খেলা তার স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসছিলো।

এসময় খবর পেয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়। সেনাবাহিনী তাকে বিনামূল্যে উন্নত চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তুলেছে। এজন্য তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশেষ করে ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি, রাঙামাটির রিজিয়ন কমাণ্ডারের কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকবেন। ভবিষ্যৎ স্বপ্ন সম্পর্কে সাথুইমা বলেন, সুস্থ হয়ে পুণরায় ফুটবলে ফিরতে চান তিনি।

এদিকে ৩০ অক্টোবর নারী ফুটবলার সাথুইমা মারমাকে দেখতে জিওসি ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার, এডব্লিউসি, পিএসসি এবং রাঙামাটির রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোঃ সানাউল, এসজিপি, পিএসসি চট্টগ্রাম সিএমএইচ হাসপাতালে যান। তারা তার শারিরীক অবস্থার খোঁজ খবর নেন এবং সব ধরণের সহায়তার আশ্বাস দেন।

সাথুইমা মারমার বোন মাসিপ্রু মারমা সেনাবাহিনীর চিকিৎসা সেবায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পার্বত্যনিউজকে বলেন, সেনাবাহিনী তার বোনকে এসি রুমে রেখে চিকিৎসা দিয়েছে। বাইরে এই চিকিৎসায় প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ হতো, কিন্তু সেনাবাহিনী সম্পুর্ণ বিনামূল্যে তাদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। এজন্য তার পরিবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে।

উল্লেখ্য, রাঙামাটি কাউখালীর বাসিন্দা সাথুইমা মারমা। বর্তমানে তিনি কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। ফুটবল খেলার প্রতি তিনি খুবই মনোযোগী তবে তিনি খেলেন স্টাইকার পজিশনে। তার অসাধারণ খেলার ভুমিকায় বঙ্গমাতায় ফুটবল প্রতিযোগিতায় রাঙামাটির ঘাগড়া মগাছড়ি সঃ প্রাঃ বিদ্যালয় ২০১১ সালে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়।

২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ান হতে না পারলেও সোনার বুট পুরস্কার পান সাথুইমা মারমা। পরে ডাক পায় জাতীয় দলে। ২০১৪ সালে শ্রীলংকায় অনুষ্ঠিত এএফসি অনুর্ধ-১৪ দলের বাংলাদেশের সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে নেপালে একটি টুর্ণামেন্টে অংশ নেওয়ার আগে ঢাকার জাতীয় দলে অনুশীলন ক্যাম্পে অনুশীলনের সময় তার বাম পায়ে চোট পায়। এরপর ফুটবল থেকে ছুটকে পড়েন সাথুইমা মারমা। এই কৃতি ফুটবলারকে মাঠে ফেরাতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশন উদ্যোগ নেয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন