সু চি ‘লজ্জিত’ করেছেন, তাই সম্মাননা ফেরত: বব গেলডফ
পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:
রোহিঙ্গা নির্যাতনের জন্য অং সান সু চির সমালোচনা করে মিয়ানমারের এই নেত্রীর সঙ্গে পাওয়া সম্মাননা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আইরিশ সঙ্গীতজ্ঞ ও অধিকারকর্মী বব গেলডফ।
বিবিসি সোমবার গেলডফের ‘ফ্রিডম অব দ্য সিটি অব ডাবলিন’ ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্তের খবর দিয়েছে।
আয়ারল্যান্ডের নাগরিক গেলডফ বলেছেন, সু চির সঙ্গে আমাদের শহরের সম্পর্ক এখন আমাদের সবার জন্য লজ্জাজনক।
মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা নির্যাতনের কারণে সু চি ইতোমধ্যে তাকে নানা সময়ে দেওয়া বিভিন্ন সম্মাননা হারিয়েছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের জন্য গণতন্ত্রের নেত্রী হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি পাওয়া সু চির নোবেল পদক ফেরত নেওয়ার দাবিও উঠেছে।
আয়ারল্যান্ডের গায়ক-গীতিকার, অভিনেতা গেডলফ রাজনৈতিক আন্দোলনেও সক্রিয়। ২০০৬ সালে ‘ফ্রিডম অব দ্য সিটি অব ডাবলিন’ সম্মাননা পান তিনি। এই সম্মাননা ২০১২ সালে দেওয়া হয় সু চিকে।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে হত্যা-ধর্ষণ, বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে এখন সমালোচিত সু চি। ২০১২ সালে অং সান সু চি নেন ‘ফ্রিডম অব দ্য সিটি অব ডাবলিন’ সম্মাননা ২০১২ সালে অং সান সু চি নেন ‘ফ্রিডম অব দ্য সিটি অব ডাবলিন’ সম্মাননা
রাখাইন প্রদেশে নির্যাতনের মুখে ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা গত আড়াই মাসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এদের সুরক্ষার সঙ্গে ফেরত নেওয়ার বিষয়েও গড়িমসি দেখাচ্ছে মিয়ানমার।
গেলডফ এক বিবৃতিতে বলেন, সোমবারই তিনি ডাবলিনের সিটি হলে গিয়ে তাকে দেওয়া সম্মাননা স্মারকটি ফেরত দিয়ে আসবেন।
সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “আমাদের শহরের সঙ্গে তার (সু চি) যে বন্ধন তৈরি হয়েছিল, সেজন্য আজ আমরা প্রত্যেকে লজ্জা বোধ করছি। “আমরা একদিন তাকে সম্মান জানিয়েছিলাম, কিন্তু তিনি এখন আমাদের হতাশ করেছেন, লজ্জিত করেছেন।”
রোহিঙ্গা প্রশ্নে মিয়ানমার সরকারের অবস্থানে হতাশা প্রকাশের সঙ্গে তা নিয়ে নিশ্চুপ থাকার জন্য স্টেট কাউন্সেলর সু চির সমালোচনা মুখর গেলডফ। তিনি বলেন, “এখন আমরা তাকে বলব, রোহিঙ্গারা যে নৃশংসতার মুখোমুখি, তা এখনই বন্ধ করুন।”
সূত্র: bdnews24.com