Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

সু চির সমালোচনায় ইয়াংহি লি

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

রোহিঙ্গা সংকটে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির নিস্পৃহ প্রতিক্রিয়ার তীব্র সমালোচনা করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কর্মকর্তা ইয়াংহি লি। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত করছেন তিনি। সংখ্যালঘু ওই জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের বিষয়ে সু চির প্রতিক্রিয়াকে তিনি নিস্পৃহ বা নির্বিকার বলে মন্তব্য করে গভীর হতাশা ব্যক্ত করেছেন ।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) জাতিসংঘে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইয়াংহি লি খোলামেলাভাবেই সু চির প্রতি তার অসন্তোষ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘এই ইস্যুতে অং সান সু চির কোনও অবস্থান না নেওয়াটা আমাকে এবং সবাইকেই বিমূঢ় করে দিয়েছে। রোহিঙ্গা নামে যে কিছু লোক আছে তিনি এমনকি সেটিও স্বীকার করছেন না। শুরুর করার জন্য এটি একটি পয়েন্ট হতে পারে। আমি খুবই হতাশ।’

রোহিঙ্গা সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে চুপ থাকায় বারবার সমালোচিত হয়েছেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অং সান সু চি। অনেক নোবেল বিজয়ীও সরাসরি তার সমালোচনা করেছেন। ইয়াংহি লি এবার সুনির্দিষ্ট পয়েন্টেই তার সমালোচনা করলেন। ইয়াংহি লির এ মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘে মিয়ানমারের কূটনৈতিক মিশন থেকে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

দক্ষিণ কোরীয় এই শিশু মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, ‘সু চি যদি তার দেশের লোকজনের কাছে এই আহ্বান জানাতেন যে– চলুন, আমরা কিছুটা মানবিক হই; আমার ধারণা লোকজন তার কথা শুনত। জনগণের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা রয়েছে।’

মিয়ানমারের পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও শত্রুতা এত তীব্র যে কেউ এর বিরুদ্ধে কথা বলারও সাহস পায় না। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যে নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার ঘটনা ঘটছে তা দেশটির মিডিয়ায় স্থানই পাচ্ছে না।

এর আগে গত বুধবারও (২৫ অক্টোবর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মিয়ানমারে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কঠোর সমালোচনা করে বক্তব্য রাখেন ইয়াংহি লি। সেখানে তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রতি কোনও সহানুভূতি বা সহমর্মিতা নেই। দশকের পর দশক ধরে মিয়ানমারের লোকজনের মধ্যে এই মানসিকতা লালিত হয়ে আসছে যে, রোহিঙ্গারা এই দেশের নাগরিক নয়, ফলে তাদের কোনও অধিকারও নেই।’ খবর: নিউইয়র্ক টাইমস।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন