সীমান্তে টহল জোরদার রয়েছে, প্রয়োজন কাঁটা তার আর সীমান্ত সড়ক
কক্সবাজার প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির হাতে। তারা কঠোর অবস্থানে রয়েছে দেশের সীমান্ত রক্ষায়। কিন্তু মিয়ানমারের মত বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটা তারের বেড়া আর সীমান্ত সড়ক নেই। যার ফলে অবৈধ অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়া ঠেকানো যাচ্ছেনা ইয়াবা পাচারসহ চোরাচালান। এ অবস্থায় সীমান্ত সুরক্ষিত করতে কাঁটা তারের বেড়া নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় উদ্যাগ জরুরী মনে করেন সচেতন মহল।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সংলগ্ন বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকা রয়েছে ২৭১ কিলোমিটার। এরমধ্যে প্রায় ৬৩ কিলোমিটার জলপথ। কিন্তু মিয়ানমার অংশে কাঁটাতারের বেড়া ও সীমান্ত সড়কসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকলেও বাংলাদেশে নেই। তাই বিজিবির কঠোর অবস্থানের মুখেও অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং মাদক চোরাচালান ঠেকানো যাচ্ছেনা। যার ফলে প্রতিদিন কোন না কোন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করছে রোহিঙ্গা। আর মাদক পাচারের ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। তাই সীমান্তে টহল জোরদারের পাশাপাশি কাটা তারের বেড়া ও সীমান্ত সড়ক প্রয়োজন বলে জানান, সচেতন মহল।
এ ব্যাপারে প্রবীণ সাংবাদিক ও এডভোকেট তোফায়েল আহম্মদ জানান, মিয়ানমার সীমান্ত সড়ক আর কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে সীমান্ত সুরক্ষায় রেখেছে। কিন্তু বাংলাদেশে সেই ব্যবস্থা নেই। যার ফলে অনেক আগে থেকে রোহিঙ্গারা এদেশে আসছে আর যাচ্ছে। এছাড়া আগে আসা রোহিঙ্গারা নতুন রোহিঙ্গাদের পথ দেখাচ্ছে তারা কোন পথে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করবে। তাই সীমান্ত রক্ষীরা কঠোর অবস্থানে থাকলেও প্রয়োজন কাঁটা তারের ব্যবস্থা।
কলেজ শিক্ষক মোস্তাফা কামাল জানান, সীমান্তে কাঁটাতার না থাকায় এই বিশাল সীমান্তের কোন না কোন পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করছে। এছাড়া মিয়ানমার থেকে আসছে মাদক। তাই সীমান্ত সড়ক জরুরী হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্ণেল এসএম আরিফুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া উদ্যোগ এ মুহুর্ত্বে নেই। তবে সীমান্ত রক্ষায় আরো অনেক বেশি নিরাপত্তা জোরদারে অভ্যন্তরীনসহ আরো বেশ কিছু পদক্ষেপ খুব দ্রুত সম্পন্ন হচ্ছে।
সীমান্তে কাটা তারের বেড়া, সীমান্ত সড়ক নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ বাস্তবায়ন এবং সীমান্ত সুরক্ষায় দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কঠোর অবস্থান নিশ্চিত করার দাবি স্থানীয়দের।