সাজেকে পাহাড় ধসে ৮-১০ ঘন্টা পরপর চলছে যানবাহন, দূর্ভোগে পর্যটক

সাজেক প্রতিনিধি:

রাঙ্গামাটি বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকের বাঘাইহাট-সাজেক সড়কে পাহার ধসের কারণে ৮-১০ঘন্টা পরপর চলছে যানবাহন। দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাজেক পর্যটনে আসা পর্যটকদের।

জানা যায় বাঘাইহাট থেকে ১৩কিমি দূরে বাঘাইহাট-সাজেক সড়ক এলাকার চম্পাতলী নামক এলাকায় গত ২১ আগস্ট থেকে প্রতিদিন একই স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটছে। এতে করে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে ৩/৪টা পর্যন্ত এবং অনেক সময় বিকাল ৩-৭টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে বাঘাইহাট-সাজেক সড়কের যানচলাচল। সড়কের উপর মাটি সড়াতে খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের তিনটি বুলডোজার প্রতিদিন কাজ করে যাচ্ছে ।

পাহাড়ধসে যানচলাচলে বিঘ্ন হওয়ার পরেও প্রতিদিন আসছে পর্যটক। আগত পর্যটকরা বাঘাইহাট-চম্পাতলী পর্যন্ত গাড়ি দিয়ে যায়। এরপর পায়ে হেটে ধসেপড়া রাস্তা পার হয়ে অন্যগাড়ি দিয়ে পর্যটন কেন্দ্রে যাচ্ছেন।  এলাকার জনসাধারণও পাহাড় ধসেপড়া সড়কের উপর পায়ে হেটে চলাচল করছে এতে মাটি সড়ানোর কাজে বিঘ্ন হচ্ছে। অপর দিকে জনগণের চলাচলের নিরাপত্তা ও রাস্তার কাজের অগ্রগতির জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে গত বুধবার বিকাল থেকে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত যানচলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়। বুধবার(৩০আগস্ট) বিকালে সাজেক পর্যটনে আসা কয়েকটি গাড়িকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

এবিষয়ে সাজেক সড়কে মাটি সড়ানোর কাজে খাগড়াছড়ি সওজ’র দায়িত্বরত মিন্টু তালুকদার বলেন, প্রতিদিন রাতে বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়টি বারবার ধসে পড়ছে আমাদের তিনটি বুলডোজার গাড়ি দিয়ে সড়কের মাটি সড়িয়ে প্রস্থ ১২ফুটের মত রাস্তা বের করে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করি এবং রাতে বৃষ্টি হলে আবার পুনরায় সড়কের উপর পাহাড়টি ধসে মাটি এসে সড়ক চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এইভাবে আমরা গত ২১তারিখ থেকে এই স্থানে মাটি সড়ানোর কাজে নিয়োজিত আছি। যদি এইভাবে প্রতিদিন রাতে বৃষ্টি হতে থাকে পাহাড়টি আরও ধসের সম্ভাবনা রয়েছে।

এবিষয়ে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাজুল ইসলাম বলেন, বাঘাইহাট-সাজেক সড়কে গত কয়েকদিন ধরে একই স্থানে লাগাতার পাহাড়ধসের কারণে জনগণের চলাচলে নিরাপত্তা ও সওজ’র কাজের সহায়তা হিসেবে আগামী ৩দিনের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখাতে বলা হয়েছে এবং পাহাড়ধস হওয়া ওই স্থান দিয়ে জনসাধারণ কে চলাচল না করতে বলা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন