সাংসদ বদির মুক্তির দাবী নিয়ে আবারও তোলপাড়: এবার বেকায়দায় বিএনপি

pic-ukhiya-10-11-2016-copy

উখিয়া প্রতিনিধি:

দুদকের মামলায় ৩ বছরের সাজা প্রাপ্ত কারা অভ্যন্তরীন ও ব্যাপক আলোচিত উখিয়া-টেকনাফের আওয়ামী লীগের দলীয় সাংসদ আবদুর রহমান বদির এবার নি:শর্ত মুক্তি দাবী করেছেন উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমপি বদির মুক্তি দাবী করে বিএনপির নেতা চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরীর বিবৃতি ও স্ট্যাটাস নিয়ে সর্বত্র তোলপাড় সহ আওয়ামী লীগে মিশ্রু প্রতিক্রিয়াসহ রাজনৈতিকভাবে বে-কায়দায় পড়েছে বিএনপিও। খোদ চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরীও বিবৃতি দিয়েছে বলে অকেপটে স্বীকার করেছেন।

অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক দায়েরকৃত মামলায় গত ২ নভেম্বর আদালতের রায়ে সাংসদ আবদুর রহমান বদি কে ৩ বছর সাজা প্রদান করা হলে তাকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। এদিকে তার মুক্তির দাবীতে উখিয়া-টেকনাফে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অভিযোগ উঠেছে, সাংসদ বদির মুক্তির প্রতিবাদ সভায় জামায়াত ও বিএনপির নেতাদের উপস্থিতি দেখা গেছে। এমনকি মরিচ্যার সভায় জামায়াত নেতা ডাক্তার মোহাম্মদ ইসলাম প্রকাশ্য বক্তব্য রেখেছে। বিষয়টি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হলে সর্বমহলে সমালোচনার ঝড় উঠে। এমনিতে সাংসদ বদির সাথে জামায়াত বিএনপির সখ্যতা রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে এ অভিযোগটি আওয়ামী লীগ নেতাদের। এবার এর সত্যের যথাযথ প্রমাণ মেলেছে বিএনপি নেতা ও চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরীর প্রকাশ্য বিবৃতি নিয়ে।

বিএনপি নেতা চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী সাংসদ বদির নি:শর্ত মুক্তির দাবীর কথা সত্যতা স্বীকার করে  দৈনিক কক্সবাজারকে বলেন, যেহেতু আবদুর রহমান বদি উখিয়া-টেকনাফ আসনের সংসদ সদস্য তাই আমিও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসাবে সাংসদ বদিকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়ার দাবী জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, নুরুল আমিন চৌধুরী বিএনপির মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে সাংসদ বদিকে ফুলের তোড়া দিয়ে নুরুল আমিন চৌধুরীর একান্ত বৈঠকের দৃশ্য সামাজিক গণযোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ওই সময় জেলা ও উপজেলা বিএনপি বিষয়টি ভালো চোখে দেখেনি। তাই চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী কে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা।

এদিকে আবারো বিএনপি নেতা চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী সাংসদ বদির মুক্তির দাবী করে আবারো সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন