সর্বক্ষেত্রে পার্বত্য বাঙালিদের সাংবিধানিক অধিকার দিতে হবে

18901371_725631354306132_1958433159_o
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

মোটর সাইকেল চালক নুরুল ইসলাম নয়ন (৪০) কে পরিকল্পিত ভাবে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক হত্যার তীব্র্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জি: আলকাছ আল মামুন ভুইয়া। একই সাথে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। অন্যথায় পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদ রোববার হরতালসহ কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

শনিবার মো. সাহাদাৎ ফরাজি সাকিবের সভাপতিত্বে এক প্রতিবাদ সমাবেশে মামুন ভুইয়া এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এ সময় নেতৃবৃন্দ বলেন, মহালছড়ির সাদিকুলকে যে ভাবে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে ঠিক একই ভাবে বৃহস্পতি বার দুপুর ১২টার সময় দিঘীনালা সড়কের চার মাইল নামক স্থানে লংগদু উপজেলা বাইট্রা পাড়ার মোটর সাইকেল চালক নুরুল ইসলাম নয়ন (৪০)কে ভাড়ার নামে উপজাতীয় সশস্র সন্ত্রাসীরা হত্যা করে।

লংগদুতে বাঙালিরা যখন নয়নের লাশের জানাজা ও বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ব্যস্ত ঠিক তখনই জেএসএস কর্মীরা উপজাতিদের ভাঙ্গা ও অকেজু ঘরে আগুন লাগিয়ে নয়ন হত্যার বিষয়টিকে ধামা চাপা দেয়ার চক্রান্ত চালায়।  ফেইসবুকে নাস্তিক ইমতিয়াজ মাহমুদ তার স্ট্যাটাসে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক নিহত নুরুল ইসলাম নয়নকে শিবিরের কর্মী বলে উল্লেখ করে বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার পায়তারা করছেন। তার এহেন মানসিকতার নিন্দা জানিয়ে ইমতিয়াজ মাহমুদ এর কাছে প্রশ্ন উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রামে আর কত নিরীহ বাঙালী খুন হলে তাদেরকে আপনি মানুষ হিসেবে গণ্য করবেন।

আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, উপজাতিদের একটা পুরাতন কৌশল যে কোন ইস্যুতে তারা বাঙালীদের হত্যা করে, বাঙালী হত্যার দৃষ্টি অন্যদিকে প্রবাহিত করতে তারা নিজেরা নিজেদের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। বারং বার একই রকম কাজ করে লাভবান হয় উপজাতিরা। কারণ বাঁশের বেড়ার ঘরের পরিবর্তে পাকা দালান ও তার সাথে সারা জীবন ঘরে বসে বসে খাবার মত বিপুল পরিমাণ সরকারি ও আন্তর্জাতিক সাহায্য তারা খুব সহজে পায়। এজন্য তাদের কাজই হচ্ছে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক ভাবে বাঙালিদের তথা বাংলাদেশকে বহির্বিশ্বের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করা। (৫ আগষ্ট ২০১৩ইং সাল) তাইন্দং ট্র্যাজেডি উজ্জল উদাহরণ। নাস্তিক ইমতিয়াজ মাহমুদের মত উস্কানিতে এ মুহুর্তে সকলকে ধৈর্য্য ধারণের আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের যুগ্ন সম্পাদক শেখ আহাম্মদ রাজু, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা সারোয়ার জাহান খানও পার্বত্য নাগরিক পরিষদের মো. সিরাজুল ইসলাম  বক্তব্য রাখেন।

অন্য দিকে রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের আহ্বায়িকা বেগম নুর জাহান ও জাহাঙ্গীর এর নেতৃত্বে বি্ক্ষোভ মিছিল, খাগড়াছড়িতে পার্বত্য বাঙালি ছাত্রপরিষদের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবদুল মজিদ/আসাদ এর নেতৃত্বে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয় । 

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন