সরকার জাতিগত নিপীড়নের লক্ষে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ন্যায্য ৫% কোটা বাতিল করেছে: ডিওয়াইএফ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
“সরকার জাতিগত নিপীড়নের লক্ষে শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ন্যায্য ৫% কোটা বাতিল করেছে। পরিকল্পিতভাবে পাহাড়ি জনগণকে শোষণ নির্যাতন চালাচ্ছে।
খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ)-এর ৩য় কাউন্সিলে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বুধবার(১৭ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় লক্ষিছড়ি সদর এলাকায় এই কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা এ সময় চাকুরী ক্ষেত্রে সংখ্যালঘু ৫% কোটা নিশ্চিতকরন, জাতীয় বেঈমান প্রতিক্রিয়াশীল জুম্ম রাজাকার প্রতিহত করে পূর্ণস্বায়ত্তশাসন আদায়ের লক্ষ্যে যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
লক্ষিছড়ি উপজেলা ডিওয়াইএফ সভাপতি রিপন চাকমার সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক ক্যামরন চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর সমন্বয়ক চন্দন চাকমা ও সংগঠক আপ্রুসি মারমা, ডিওয়াইএফ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাংগাঠনিক সম্পাদক রুপেশ চাকমা, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা শাখার শিল্প ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক উৎপল চাকমা, পিসিপি লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি নয়ন চাকমা, ১নং লক্ষীছড়ি ইউপি চেয়্যারম্যান প্রবিল চাকমা, ২নং দুল্যাতলী ইউপি চেয়্যারম্যান ত্রিলন চাকমা, ৩নং বর্মাছড়ি ইউপি চেয়্যারম্যান হরিমোহন চাকমা, লক্ষীছড়ি সদর সংরক্ষিত মহিলা আসনের ইউপি সদস্য মেরিনা চাকমা প্রমূখ।
কাউন্সিল শুরুতে অধিকার আদায়ের সংগ্রামের নিয়োজিদ সকল শহীদদের স্মরনে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
কাউন্সিলে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, পাহাড়ে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যা ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। কিন্তু এসবের কোনো বিচার হয় না। সরকার পাহাড়ি জনগণের আন্দোলনকে নস্যাৎ করার লক্ষ্যে পাহাড়ি দালাল প্রতিক্রিয়াশীলদের ব্যবহার করে আন্দোলনের বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর মিঠুন-তপন-এলটন-পলাশসহ ২৫ জনের অধিক নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের হত্যা করেছে এবং হত্যার চেষ্টা চালাচ্ছে। বীর শহীদদের শোককে শক্তিতে পরিণত করে ও তাদের আত্মত্যাগ আত্মবলিদান থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীতে পূর্ণস্বায়ত্তশাসন সংগ্রামকে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে যুব সমাজকে সংগ্রামী চেতনায় উত্তীর্ণ হয়ে আন্দোলনকে বেগবান করতে আহ্বান জানান বক্তারা।
তারা আরো বলেন, মুখোশ সংস্কারদের হত্যা নির্তযাতনের ভয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনপ্রতিনিধিরা অনিরাপদ। মামলার কারণে জনস্বার্থের লক্ষ্যে উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ড চালাতে পারছে না। সরকার পরিকল্পিত সাজানো মিথ্যা মামলায় দায়ের করে অনেক জনপ্রতিনিধিদেরকে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করছে” বলে অভিযোগ করেন।
এসময় বক্তারা সরকারের চক্রান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন জোরদার করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানান। পাহাড়ি রাজাকারদের প্রতিহত করতে গ্রামে গ্রামে সুসংগঠিত হয়ে প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
পুরাতন কমিটিকে বিলুপ্ত করে উপস্থিত সর্বসম্মতিক্রমে বরুন চাকমাকে সভাপতি, উৎপল চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক, পাইচি মারমাকে সাংগাঠনিক সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
নতুন কমিটিকে শপথ বাক্য পাঠ করান ডিওয়াইএফ খাগড়াছড়ি জেলা এর সাংগাঠনিক সম্পাদক রুপেশ চাকমা।