সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ দিলেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক

রোয়াংছড়ি ছবি ২০.৬.১৬

রোয়াংছড়ি প্রতিনিধি:

বান্দরবানে রোয়াংছড়িতে এক দিনের সরকারি সফর এসে উপজেলার প্রশাসনে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের কর্মস্থলের থাকার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক।

সোমবার বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক এসব কথা বলেন।

এ সময় মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ হোসেন (ইউএনও) । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রোয়াংছড়ি ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মো. মামুন, ভাইস চেয়ারম্যান ক্যসাইনু মারমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাউসাং মারমা, রোয়াংছড়ি থানার এ,এস,আই মো. আরিফ সহ এলাকার জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গ ও উপজেলা প্রশাসনের সকল দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রধান অতিথি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকারের দুর্নীতি বিরোধী কার্যক্রম, স্বাস্থ্য, বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন,উপজেলার উন্নয়ন ভাবনা এবং চোরাচালান প্রতিরোধসহ উপজেলা সার্বিক আইনশৃংখলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

তিনি আরও বলেন, বান্দরবান জেলা থানছিতে সাম্প্রতিক খাদ্য সংকট নিয়ে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়াতে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। উপজেলার চেয়ারম্যান যদি সামাজিক মাধ্যম ও গণ মাধ্যমকে নিয়ে সরকারের ভাব মূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ায় চিন্তা করেন তাহলে করার কি থাকে? তিনি নির্বাহী ক্ষমতা ও নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধি উপজেলায় পরিষদের চেয়ারম্যান। জনগণের সাথে সমন্বয় রেখে কাজ করতে হবে। সে কাজ না করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খাদ্য সংকটের কথা প্রচার করলেন। এধরনে হলে কি আর করার থাকে?

তবে তিনি সাংবাদিকদেরকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, সাংবাদিকদের অবশ্যই আমাদের সাথে থাকতে হবে। সাংবাদিকরা তো আর এসব এরিয়ে যেতে পারেন না। সাংবাদিকরা বিভিন্ন প্রশ্ন করতেই পারে, সে ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের ভালো-খারাপ বুঝেই উত্তর দিতে হবে। থানছিতে তিন্দু, রেমাইক্রী খাদ্য সংকট দুর্গম এলাকারগুলো পরিদর্শন করেছি। দুর্গম এলাকাতে হেলিকপ্টার ছাড়ার ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানো সম্ভব নয়। তবুও প্রশাসন সকলের চেষ্টায় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে পেরেছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রমের ১৯৯৭ সালের পার্বত্য এলাকার শান্তিতের থাকার জন্য সরকার শান্তি চুক্তি করে ছিলেন। কিন্তু পার্বত্য এলাকায় এখনও শসস্ত্র সন্ত্রাস বিরাজ করছে। জনগণের জানমাল রক্ষা সংশয় হয়ে পড়েছে। বিগত ১৩ জুন সোমবার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা সাবেক ইউপি’র সদস্য মংপু মারমাকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। তা এখনো পর্যন্ত সন্ধান পায়নি। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীরা উদ্ধারের জন্য তৎপরতা চলছে।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যন সাহ্লামং মারমা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আসরাফ উদ্দিন চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ক্যসাইনু মারমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাউসাং মারমা, এএসআই মো. আরিফ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুন নেসা প্রমুখ। সভা শেষে বিভিন্ন দপ্তরের কার্যক্রমগুলো পরিদর্শণ করে এবং বৃক্ষ রোপণ করেন জেলা প্রশাসক।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন