সম্প্রীতি বিনষ্টকারীরা মানবতার শক্র : সাইমুম সরওয়ার কমল
উপজেলা প্রতিনিধি, রামু :
কক্সবাজারের রামু উপজেলার কেন্দ্রীয় সীমা বিহারে শুক্রবার হাজার হাজার পূণ্যার্থীর অংশ গ্রহণে শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিনম্র শ্রদ্ধাসহ ধর্মীয় মর্যাদায় সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী মহতী পূণ্যানুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের অধ্যক্ষ পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রামু-কক্সবাজার সদর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল। তিনি বলেন, সরকার সকল সম্প্রদায়ের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রীতি বিনষ্টকারীরা মানবতার শক্র, তাদেরকে ক্ষমা করা হবেনা। তিনি আরও বলেন, সকল ধর্মে মানবতার কথা বলে হয়েছে। দানশীল ভাবনা মৈত্রী, করুণার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বুদ্ধের অহিংসার বাণীর ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রামু গ্যারিসান ৩১ বীর ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মাজহারুল আল কবির খোকন, কক্সবাজার পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ, ৫০ বিজিবি রামু’র অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল শফিউল আজম পারভেজ, রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ হোসেন, রামু থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সাইকুল আহম্মদ ভূঁইয়া, রামু থানার ওসি তদন্ত আনোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক চেয়ারম্যান জাফর আলম চৌধুরী।
সভায় ধর্মদেশনা করেন প্রিয়রত্ন থের, ভিক্ষু পাঞ্ঞা দীপা মহাথের, সারমিত্র থের, করুনা শ্রী ভিক্ষু, শীলপ্রিয় ভিক্ষু ধর্ম সভায় ধর্মদেশনা। এতে আরও বক্তব্য রাখেন রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তরুণ বড়ুয়া, কঠিন চীবর দানোৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ব্যোমকেশ বড়ুয়া ও যুগ্ম আহ্বায়ক নয়ন বড়ুয়া।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা ফরিদ মাস্টার, রামু প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা দর্পণ বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক সুনীল বড়ুয়া, জেলা যুবলীগ নেতা পলক বড়ুয়া আপ্পু, সাংবাদিক খালেদ হোসেন টাপু, অর্পণ বড়ুয়া, দুলাল বড়ুয়া, ফুটবল খেলোয়াড় শিপন বড়ুয়া, বিপুল বড়ুয়া আব্বু, কাজল বড়ুয়া, আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপির ব্যক্তিগত সহকারি আবু বক্কর, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের রামুর সমণ্বয়কারী সুপানন্দ বড়ুয়া প্রমূখ। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহার পরিচালনা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক অলক বড়ুয়া।
অনুষ্ঠান সূচির মধ্যে ছিল ভোর সাড়ে ৫টায় বুদ্ধপূঁজা, ৬টায় ভিক্ষুসংঘের পিন্ডদান, সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, সাড়ে ৯টায় সদ্ধর্ম সভা, ১১টায় সংঘদান ও অষ্টপরিষ্কার দান, সাড়ে ১১টায় ভিক্ষুসংঘের পিণ্ডদান ও বেলা ১২টায় অতিথি ভোজন, দুপুর আড়াইটায় রামুর বিভিন্ন বৌদ্ধ পল্লীর শত শত বৌদ্ধ নর-নারীরা কঠিন চীবর ও কল্পতরু নিয়ে গ্রাম প্রদক্ষিণ, বিকাল ৩টায় মঙ্গলাচরণ, সংগীত অনুষ্ঠান, সাড়ে ৩টায় আলোচনা সভা ও সদ্ধর্মদেশনা, সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় কঠিন চীবর ও কল্পতরু উৎসর্গ, ৬টায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও সাড়ে ৬টায় বিশ্ব শান্তি কামনায় সমবেত প্রার্থনা।