সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সাথে সমন্বয় করে কাজ করার কথা জানালেন এসএম শফি

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:

কেন্দ্রীয় নির্দেশে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সাথে সমন্বয় করে কাজ করছি। খুব শীঘ্রই খাগড়াছড়িতে দলীয় বিরোধ মিটে যাবে। খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের নেতা জাহেদুল আলমের বহিষ্কারের বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। কেন্দ্র থেকে এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। দলীয় সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিবেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের নিজস্ব ভবনের কাজের অগ্রগতি প্রদর্শন ও চলমান পরিস্থিতি নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম শফি এসব কথা বলেন।

এসএম শফি আরও বলেন, শুধুমাত্র খাগড়াছড়ি জেলাতে নয় সারাদেশের বিভিন্ন ইউনিটে নেতাকর্মীদের মধ্যে দূরত্ব আছে। মৌখিকভাবে কেন্দ্র থেকে খাগড়াছড়িতে চলমান দূরত্ব কমানোর দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে কাজ করছি। আশা করছি শীঘ্রই খাগড়াছড়ি আওয়ামী লীগের দূরত্ব কমে আসবে। একসাথে এক কার্যালয়ে বসে আমরা সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারব। আসন্ন শোকের মাস আগস্টের সব কর্মসূচি দলীয় কার্যালয়ে এক সাথে বসে পালন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

জাহেদুল আলম বহিষ্কার কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে এসএম শফি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গণতন্ত্র মোতাবেক সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ১ হিসেবে আমি দায়িত্ব পালন করছি। গত ২০ মে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় খাগড়াছড়ির সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম সহ ৮ জেলার বিভিন্ন ইউনিটের সভাপতি-সম্পাদক ও অনেক নেতার ব্যাপারে সংগঠন বিরোধী কাজের অভিযোগ দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানানো হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে গণতন্ত্র মোতাবেক আমাকে মৌখিক ভাবে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেয়া হলেও লিখিত ভাবে এখনো জানানো হয়নি। এতে করে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে জাহেদুল আলমের বহিষ্কারের বিষয়টি স্পষ্ট নয়। এখনো পর্যন্ত তাদের বহিষ্কার বা দলের সাধারণ সদস্য পদ থেকে অবহতির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়নি। এটি কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাধান করবেন। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে দলীয় বিভক্তি কমাতে কাজ করার চেষ্টা করছি।

দলীয় কর্মকাণ্ডে বিভক্তির কারণ সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন সরকারি ভবনে বসে দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা কিংবা নির্বাচন পরিচালনা করা যাবে না। দলীয় কার্যালয়ে বসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে দ্রুত নির্মাণ কাজ চালানো হচ্ছে। নতুন কার্যালয়ে আগামী নির্বাচনে খাগড়াছড়ি আসনে দল যাকে প্রার্থী দিবেন তার হয়ে সব নেতাকর্মী কাজ করবেন। এ জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গুলো জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে উঠান বৈঠক সহ বহুমুখী প্রচারণা চালানো হচ্ছে। দ্বিধা বিভক্তি কমিয়ে সবকে অফিসমুখী করতে কাজ চালানো হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম ও সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন