সন্ত্রাস জঙ্গীবাদের চেয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে মাদক: রাঙামাটি জেলা প্রশাসক
কাউখালী প্রতিনিধি:
“জনসেবার জন্য প্রশাসন” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী জনসাধারণ, জনপ্রতিনিধি এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের অংশগ্রহণে কাউখালীতে অনুষ্ঠিত হল গণশুনানি। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত গণশুনানিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান।
সভায় জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসবাদ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মাদকের ব্যাপকতা নিয়ে উন্মোক্ত আলোচনায় জেলা প্রশাসক বলেন, দেশে সন্ত্রাস জঙ্গীবাদের চেয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে মাদক। যুবসমাজকে মাদকের ভয়াবহ ছোবল থেকে রক্ষা করতে হলে এর বিরুদ্ধে সবাইকে সমন্বিত যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা এড়িয়ে যাবেন না, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদের পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা বৃদ্ধি করুন। জনগণের শাসক না হয়ে সেবক হয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ান। উপজেলার উন্নয়ন কর্মসূচীর বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, কোন প্রকল্প গ্রহণ করার ক্ষেত্রে স্কুল, কলেজসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
উন্মোক্ত আলোচনার শুরুতে বেতবুনিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান সামছুদ্দোহা চৌধুরী বলেন, উপবৃত্তির ক্ষেত্রে বিশাল বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির ছেলে মেয়েদের বাদ দিয়ে সেকায়েফ প্রকল্পে এক চেটিয়া পাহাড়ি জনগোষ্ঠিকে অন্তর্ভুক্ত করায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
বেতবুনিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার হেলাল উদ্দিন অভিযোগ করেন, মরণ নেশা মাদকের ছোবলে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত বেতবুনিয়া ইউনিয়ন। তিনি জানান, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মদ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মদ, গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরণের নেশাজাতীয় সামগ্রী পাচারের জন্য নিরাপদ রোড হিসেবে বেতবুনিয়াকে ব্যবহার করে থাকে পাচারকারীরা। ফলে এর ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে পুরো উপজেলা জুড়ে।
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণশুনানীতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম. চৌধুরী, ঘগড়া ৩৪ আনসার ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার মো. শেফায়েত উল্লাহ, ভাইস চেয়ারম্যান মংসুইউ চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এন্যানি চাকমা, ওসি মো. আব্দুল করিম। এছাড়াও সভায় সব ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, হেম্যান, কার্বারী, ধর্মীয় নেতা, স্কুল কলেজের শিক্ষক, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করেন।