সকলকে উন্নয়নের মহাসড়কে যুক্ত হতে হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক, মাটিরাঙ্গা :
১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক বিজয়ের পর দেশে এখন আরেকটি যুদ্ধ চলছে। যে যুদ্ধের নাম ‘উন্নয়ন’। এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করলে উন্নয়নে পিছিয়ে পড়তে হবে। আর তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে উন্নয়নের মহাসড়কে যুক্ত হতে হবে। তবে কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব হবে। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারীরা যেমন রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে তেমনিভাবে যারা চলমান উন্নয়নের বিরোধীতা করবে তারাও একসময় রাজাকার হিসেবেই চিহ্নিত হবে।
রোববার সন্ধ্যায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য প্রদানকালে দেশের সুচিত উন্নয়নের ধারা নিয়ে এভাবেই বললেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বঅহী অফিসার বি.এম মশিউর রহমান।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাহাদাত হোসেন টিটো, মাটিরাঙ্গা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আশীষ দাশ, মাটিরাঙ্গা ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা, মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-আহবায়ক সুবাস চাকমা ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন লিটন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
স্বাধীনতা সংগ্রামের বীরত্বগাঁথার কথা উল্লেখ করে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৪৬ বছরের মাথায় এসে ২৫ মার্চকে ‘জাতীয় গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনটি সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানার সুযোগ করে দিয়েছেন। তারা বলেন, গণহত্যা দিবসের মাধ্যমে এ প্রজন্ম আমাদের ইতিহাস সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবে। তারা ইতিহাস বিকৃত নয়, বরং প্রকৃত ইতিহাসকে সামনে তুলে ধরতে দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধা, সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা ও শিক্ষক-সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান।
আলোচনাসভা শেষে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত রচনা, চিত্রাঙ্কন, বিতর্কসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বঅহী অফিসার বি.এম মশিউর রহমানসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।
পরে তিনি মাটিরাঙ্গা শিল্পকলা একাডেমীর শীল্পিদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন আমন্ত্রিত অতিথিসহ হাজারো সংস্কৃতিপ্রেমি মানুষ।