Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে বান্দরবানে কোরবানি পশুর হাট

বান্দরবান প্রতিনিধি:

বান্দরবান জেলার বিভিন্ন কোরবানি পশুর হাট শেষ মুর্হুতে বেশ জমে উঠেছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে জেলার বাহিরেও নিয়ে যাচ্ছে কোরবানির পশু। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর কোরবানির পশুর দামটা কিছুটা চড়া। জেলার কোরবানির হাট এখন সরগরম। রুমা, রোয়াংছড়ি, থানছিসহ বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকা থেকে স্থানীয় কৃষক, খামারি এবং ব্যবসায়ীরা গরু নিয়ে আসছেন হাটে।

বেচাকেনাও বেশ ভাল বলে জানিয়েছেন বাজারের ইজারাদাররা। ক্রেতাদের কাছে এ বছর ছোট ও মাঝারি আকারের গরু চাহিদাই বেশি। ছোট আকারের গরু  ৪০ থেকে ৫০ হাজার, মাঝারি আকারের গরু ৬০ থেকে ৭০ হাজার এবং বড় গরু বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৭০ /৮০ হাজার টাকার মধ্যে। কৃত্রিম কোন ঔষধ ব্যবহার না করে এখানে প্রাকৃতিকভাবে গরু পালন এবং মোটাতাজা করা হয় বলে জেলার বাহিরে বান্দরবানের গরুর বাড়তি আকর্ষণ রয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে বান্দরবান বালাঘাটায় গরুর বাজারে ক্রেতা মো. জালাল উদ্দিন জানান, গরুর দাম মোটামুটি সহনশীল পর্যায়ে রয়েছে। কোরবানী দাতারা তাদের সাধ্যের মধ্যে গরু ক্রয় করতে পারছেন। কোরবানীর বাজারে বিক্রি মোটামুটি ভালো হচ্ছে। তবে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা এবং দাম কিছুটা বেশি ছিলো। সব মিলিয়ে গত বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম সহনশীল পর্যায়ে রয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে জেলার বাহিরেও নিয়ে যাচ্ছে কোরবানির পশু।

স্থানীয়রা জানান, পবিত্র ঈদুল আজহায় অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর বেশি উৎসাহ দেখা যাচ্ছে মানুষের। যারা গরু-ছাগল কিনতে অসমর্থ তারাও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাটবাজারে পশু বিক্রিতে। জেলা শরের কয়েকটি অস্থায়ী গরুর বাজারে এক থেকে দেড় লাখ টাকারও বেশি দামে গরু বিক্রি হয়েছে।

বিক্রেতা আবুল খায়ের ও নুরুল ইসলাম জানান,গত বছর গরু মূল্য কম পেলেও এ বছর মূল্য একটু বাড়তি হওয়ায় বিক্রতারা বেশ খুশি। পাহাড়ি এলাকায় রোগমুক্ত এবং প্রাকৃতিকভাবে গরু লালন পালন করায় ক্রেতাদের কাছে অনেক চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও জেলার বাহিরেও এসব গরুর চাহিদা অনেক বেশি এবং ভালো দামও পাওয়া যায়।

জেলা পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার জানান, কোরবানি পশুর হাটে বাজারে গরু ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কে সব ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি বাজারে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পোষাক ধারীর পাশাপাশি সাদা পোষাকের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। জাল নোট চিহ্নিত করার জন্য বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মীরা মাঠে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা সার্বক্ষনিক বাজার টহল দিচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন