শিক্ষার্থী ধর্ষণ: শিক্ষকসহ থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা
থানচি প্রতিনিধি:
বান্দরবানের থানচি উপজেলায় এবার শিক্ষক কর্তৃক এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এ ঘটনায় বিচারের নামে আলামত নষ্টের অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষকসহ থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যহ্লাচিং মার্মা’র বিরুদ্ধে থানচি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, থানচি উপজেলার ক্রংক্ষ্যংপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিশু শিক্ষার্থী ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইন থোয়াই মার্মার কাছে ২৫ এপ্রিল ও ২১ মে সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়তে গেলে দুই দিন দুই দফায় ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেন।
ঘটনার পর বিষয়টি কাউকে প্রকাশ না করতে হুমকি প্রদান করে এই শিক্ষক। পরে থানচি ক্রংক্ষ্যংপাড়া বৌদ্ধ বিহারে থাকা এই শিশু ঘটনার পর কান্নারত অবস্থায় বিহারে ফিরলে তখন বিহারের ভান্তে ক উন্দা কান্নার কারণ জানতে চাইলে শিশুটি ভান্তেকে ঘটনা প্রকাশ করে।
শিশু শিক্ষার্থীর পিতা সা প্রু মার্মা বলেন, আমি এই ঘটনার বিচার চাই। একজন শিক্ষক যদি এই ঘটনা সংগঠিত করে, আর চেয়ারম্যান যদি আলামত নষ্টের ভূমিকা গ্রহণ করে তাহলে বিদ্যালয়ের শিশুরা কিভাবে পড়তে আসবে।
শিশুটির বাড়ি থানচি উপজেলার বড় মদকের ভিতরপাড়া এলাকায় হলেও সে থানচির ক্রংক্ষ্যংপাড়া বৌদ্ধ বিহারে আবাসিকে থেকে ক্রংক্ষ্যংপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করতো।
আরো জানা গেছে, ঘটনার পর এই ব্যাপারে শিশুটির পিতা সা প্রু মার্মা উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যাহ্লাচিংকে অনেকবার বিচারের জন্য মৌখিক আবেদন করলেও অভিযুক্ত শিক্ষক উপজেলা চেয়ারম্যানের আপন ভাতিজা হওয়ায় বিচার না করে তিনি সময় ক্ষেপণ করে ধর্ষণের আলামত নষ্ট করেন। তাই উপজেলা চেয়ারম্যানকেও ধর্ষণ মামলার আসামী করা হয়।
এই ব্যাপারে বান্দরবানের থানচি থানায় শিক্ষক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে থানচি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যাহ্লাচিং মার্মা বলেন, কাল সোমবার বিষয়টি আমাদের গ্রামের বাড়ীতে কারবারী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে সামাজিক বিচার করার কথা। তবে আমার বিরুদ্ধে মামলা হলো আমি তো জানিনা। শিক্ষক আমার বড় ভাইয়ের ছেলে হয়।
এই ব্যাপারে থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল সাত্তার ভূইয়া বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথভাবে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করবো।