লামায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে উপজাতি শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ভর্তি না করার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান:
বান্দরবানের লামায় ফাইতং ইউনিয়নে চিউবতলী এন আই চৌং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোন উপজাতি শিক্ষার্থী ভর্তি না করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বছর ভর্তির অজুহাতে প্রধান শিক্ষক খাঁন আবুয়াল হোসেন টাকা নেয়ার আভিযোগ করেছে অভিভাবকরা।
সূত্র জানায়, সরকারের নির্দেশনানুযায়ী উপজেলার প্রথম পর্যায়ে ২৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত করা হয়। চিউবতলী এন আই চৌং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ৩৮জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়। ওই শ্রেণিতে একজনও উপজাতি শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়নি।
অপরদিকে বাঙ্গালী ৩৮জন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তির কথা বলে ৯৭০ টাকা করে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ করেছে অভিভাবকরা। শিক্ষার্থীদের কোটা না থাকার অভিযোগ দেখিয়ে উপজাতি শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাচ্ছেন না। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা।
স্থানীয় ও অভিভাবকদের অভিযোগ, ক্যাচমেন্ট এলাকায় পোলাই মার্মা পাড়া, ভাজা মার্মা পাড়া, ধর্মচরণ ত্রিপুরা পাড়া ও নাজিরাম ত্রিপুরা পাড়ার শিক্ষার্থীদের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি না করাই শিক্ষা জীবন অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। বিষয়গুলোর প্রতিকার চেয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। শিশুদের শিক্ষা জীবন নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন ক্যাচিং মার্মা, উহামং মার্মা, থুইহাচিং মার্মা, বাসাচন্দ্র ত্রিপুরা, উমেনু মার্মানীসহ অনেক অভিভাবক।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাঁন আবুয়াল হোসেন বলেন, ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে কোট অনুযায়ী ৩৮জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ৩৮জনের মধ্যে একজনও উপজাতি শিশু নেই বলে তিনি স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে লামা উপজেলা শিক্ষা অফিসার যতীন্দ্র কুমার মণ্ডল বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নু বলেন, দুঃখজনক বিষয়টি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।