লামায় ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী পদে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ না দেওয়ার অভিযোগ

 

লামা প্রতিনিধি:

উপজেলার ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে দপ্তরী কাম প্রহরী পদে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মেধা তালিকা অনুযায়ী নিয়োগ না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন উর্ত্তীণ প্রার্থী ও স্থানীয় জনসাধারণ। প্রেরিত অভিযোগের বর্ণনামতে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে বাছাইয়ের মাধ্যমে প্রেরিত প্যানেলের মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

লামা উপজেলার ১৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম প্রহরী পদে নিয়োগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে গঠিত ৭ সদস্য কমিটি কাগজপত্র যাচাই বাছাই ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থীদের নিয়োগ প্যানেল প্রস্তুত করে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদে চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করেন। প্রতি বিদ্যালয় থেকে ৩জন প্রার্থীর প্যানেল প্রেরণ করা হয়েছে। বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আবছার স্বাক্ষরিত নিয়োগের অনুমোদন কপি গত ১০ জুলাই লামায় পৌঁছে।

আকিরাম পাড়া, ইয়াংছা পাড়া, বাইশপাড়ি, রাজবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রেরিত প্যানেলের ক্রমিক নং প্রথমে অবস্থানকারী প্রার্থী গাবরিয়েল ত্রিপুরা, অংথোয়াইগ্য মার্মা, উক্যসাইং মার্মা ও সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার পরও তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়নি। প্রেরিত প্যানেলের ২ ও ৩ নং ক্রমিকে অবস্থানকারীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মেধা তালিকা মোতাবেক নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

দরদরী বড়ুয়া পাড়ার কাজল বড়ুয়া লিখিত অভিযোগ করে জানিয়েছেন, নিয়োগ শর্ত মোতাবেক দরদরী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্যাচম্যান্ট এলাকার স্থায়ী বাসিন্দাকে নিয়োগ না দিয়ে অন্য এলাকার লোককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ পত্র ইস্যু করার পূর্বে অভিযোগ দিলেও জেলা পরিষদ তা আমলে নেননি।

রাজবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী পদে অনিয়মের অভিযোগ এনে ১৩৫জন স্থানীয় জনসাধারণ লিখিতভাবে বান্দরবান জেলা পরিষদে নিয়োগ বাতিল আবেদন করেছেন। এ বিদ্যালয়ের প্রেরিত প্যানেলের ২নং ক্রমিকে অবস্থানকারী জুলু বিকাশ বড়ুয়া জানিয়েছেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় জনসাধারণ আমার নিয়োগের ও যোগদানের বিরোধীতা করছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের উপস্থিতিতে শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আমার যোগদান পত্র গ্রহণ করেছেন।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব যতীন্দ্র মোহন মণ্ডল বলেছেন, নিয়োগ কমিটির ফলাফল উপেক্ষা করার সুযোগ আছে বলে আমার জানা নেই। তবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যাকে অনুমোদন দিবেন সে বিষয় আমাদেরকে মানতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নিয়োগ কমিটির সভাপতি খিন ওয়ান নু জানিয়েছেন, নীতিমালা অনুযায়ী পরীক্ষা নিয়ে স্বচ্ছতার মাধ্যমে মেধার ভিত্তিতে প্যানেল প্রস্তুত পূর্বক অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ কাকে অনুমোদন দিলেন সেটা নিয়ে আমার কোন মন্তব্য নাই।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আবছার দপ্তরী কাম প্রহরী নিয়োগের অনুমোদনের বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হন নি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন