লামায় ম্রো কারবারিকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে মারমা যুবক

লামা প্রতিনিধি:

উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে দূর্গম ত্রিশডেবা মুরুং ঝিরির আগায় ম্রো কারবারি মাংরউ ম্রোকে (৫৫) (পাড়া প্রধান) দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা করে তার নিকট থেকে ১৯ হাজার ৫ শত টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। টাকার জন্যই ম্রো কারবারিকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার দায় স্বীকার করে মারমা যুবক মংচাচিং মার্মা (২৫) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

লামা থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, এজাহার নামীয় আসামি মংচাচিং মার্মাকে ২ আগস্ট জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ৩ আগস্ট স্বেচ্ছায় আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মংচাচিং মার্মা জানিয়েছেন, ত্রিশডেবা মুরুং ঝিরির আগায় পিছন থেকে দা দিয়ে কুপিয়ে তাকে দ্বিখণ্ডিত করা হয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত করে টাকা নিয়ে খণ্ডিত মস্তক পাশের ঝিরিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারি থেকে ম্রো পাড়া কারবারি মাংরউ ম্রো ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ত্রিশডেবা মুরুংঝিরিতে নিজস্ব চাষাবাদের জমি লাগিয়ত করার জন্য গত ২৬ জুলাই আসেন। ত্রিশডেবায় জমির বর্গা চাষি উমং মার্মা (৩৭) জমি লাগিয়াত বাবদ ১৯ হাজার টাকা প্রদান করেন। গত ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে টাকা নিয়ে বাইশারির নিজ বাড়িতে যাওয়রার সময় মংচাচিং মার্মা তার পিছু নেয়। এক পর্যায়ে মুরুংঝিরির আগায় পৌঁছলে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলে। স্থানীয় জনসাধারণের সহযোগিতায় নিহতের পরিবারের লোকজন খোঁজে আসলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সন্দেহভাজন হিসেবে মংচাচিং মার্মাকে আটক করে।

পুলিশ মারমা যুবক মংচাচিং মার্মার (২৫) স্বীকারোক্তি মোতাবেক অভিযান চালিয়ে নিহত ম্রো কারবারি মাংরউ ম্রো (৫৫) এর মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার করেছে। নিহত মাংরউ ম্রে কারবারি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারি ইউনিয়নের মৃত রইনা ম্রো এর ছেলে ও একই পাড়ার কারবারি। এ ঘটনায় পুলিশ ত্রিশডেবা মার্মা পাড়ার অংথোয়াই মার্মার ছেলে মংচাচিং মার্মাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন