লামায় মারমা যুবক কর্তৃক ম্রো পাড়া কারবারিকে হত্যা
লামা প্রতিনিধি:
উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দূর্গম ত্রিশডেবা মুরুং ঝিরির আগায় মারমা যুবক কর্তৃক ম্রো কারবারিকে (পাড়া প্রধান) হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ হত্যাকারী যুবক মংচাচিং মার্মার (২৫) স্বীকারোক্তি মোতাবেক অভিযান চালিয়ে নিহত ম্রো কারবারি মাংরউ (৫৫) ম্রো এর মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার করেছে।
নিহত মংরউ ম্রো কারবারি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারি ইউনিয়নের মৃত রইনা ম্রো এর ছেলে ও একই পাড়ার কারবারি। এ ঘটনায় পুলিশ ত্রিশডেবা মার্মা পাড়ার অংথোয়াই মার্মার ছেলে মংচাচিং মার্মাকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহতের ছেলে মেনথাং ম্রো (২৭) জানিয়েছেন, ত্রিশডেবা মুরুংঝিরিতে তাদের চাষাবাদের জমি লাগিয়ত করার জন্য গত ২৬ জুলাই বুধবার তার পিতা বাইশারি থেকে সেখানে আসেন। ত্রিশডেবায় তাদের জমির বর্গা চাষি উমং মার্মা (৩৭) জমি লাগিয়াত বাবদ ১৯ হাজার টাকা প্রদান করেন। গত ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে টাকা নিয়ে বাইশারি ফেরার পথে ঘাতক মংচাচিং মার্মা গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে তার পিতার পিছু নেয়। এক পর্যায়ে মুরুংঝিরির আগায় পৌঁছলে তার পিতাকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলে।
স্থানীয় জনসাধারণের সহযোগিতায় নিহতের পরিবারের লোকজন খুঁজতে আসলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সন্দেহভাজন হিসেবে গত ৩০ জুলাই রবিবার বিকালে মংচাচিং মার্মাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ঘাতক টাকার জন্য পাড়া কারবারিকে হত্যার কথা জানিয়েছে।
পুলিশ ঘাতক মংচাচিং মার্মাকে সাথে নিয়ে অভিযান চালিয়ে ৩১ জুলাই দিবাগত গভীর রাতে মুরুংঝিরির আগা থেকে পাড়া কারবারির মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মেনথাং ম্রো বাদি হয়ে ঘাতক মংচাচিং মার্মাকে আসামী করে লামা থানায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, ঘাতককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।