লামায় ভূয়া দলিলের মাধ্যমে অসহায় নারীর জায়গা দখল করার ষড়যন্ত্র
লামা প্রতিনিধি:
বান্দরবানের লামায় ভূয়া দলিল করে এক নারীর জায়গা দখল করার অভিযোগ উঠেছে। ক্ষতিগ্রস্থ হামিদা বেগম (৫৫) লামা সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বৈল্ল্যারচর এলাকার বাসিন্দা। হামিদা নিরুপায় হয়ে নিজের জায়গা ফিরে পেতে লামা উপজেলা রেজিস্ট্রার অফিসারের বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হামিদা বেগমের মা শামসুন নাহার ২৯৫ নং লামা মৌজার ১৬ নং খতিয়ান ও ১৭৬ নং হোল্ডিং এর অংশীয় জমির ওয়ারিশ সূত্রে মালিক। উক্ত সম্পত্তির মোট মালিক ৫ জন। একই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের আনোয়ার হোসেন ও আলী হোসেন উভয় পিতা আব্দুল কুদ্দুস গ্রাম মেরাখোলা মুসলিম পাড়ার কাছে ৮৯৮/২০০৫ নং দলিল মূলে ৫০ শতক জায়গা বিক্রি করে। কিন্তু ক্রেতারা সুকৌশলে বিক্রেতারা অশিক্ষিত হওয়ায় ৫০ শতকের জায়গায় ১একর ৪০ শতক জায়গা রেজিস্ট্রারি করে নেয়।
এ ছাড়া গত ১৫ জুলাই ২০১৪ সালে আরেকটি ভূয়া দলিল ১১৪০/২০১৪ সৃজন করে সাড়ে ৪৪শতক জায়গা চুক্তিনামা দলিল সম্পাদন করে। উক্ত দলিলের বিষয়ে পূর্বে বিক্রেতারা কেউ অবগত নয় এবং তারা কেউ উক্ত দলিল প্রদান করেনি। বিষয়টি জানতে পেরে নাদাবী দলিল ৮৯৮/২০০৫ ও চুক্তিনামা দলিল ১১৪০/২০১৪ বাতিলের জন্য লামা রেজিস্ট্রেশন অফিসারের বরাবর আইনী প্রতিকার পাওয়ার আবেদন করেন ওয়ারিশ হামিদা বেগম।
এ বিষয়ে হামিদা বেগম বলেন, আমার ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া আমার এক টুকরো জমি নিয়ে গেলে আমি কি করে চলব। স্বামী থেকেও নাই। এই একটুরো জমিতে চাষ করে করে খাই। এই জমি নিয়ে গেলে আমি না খেয়ে মরে যাব।
অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা সঠিক নিয়োমে প্রকৃত মালিক থেকে জমি ক্রয় করেছি। যেহেতু হামিদা বেগম রেজিস্ট্রোর অফিসারের নিকট অভিযোগ করেছে সুতারাং আইনী ভাবে আমরা জবাব দেব।
এ বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রেজিস্ট্রোর অফিসার সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সত্যতা পেলে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।