লামায় নির্বাচনী সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আহত ৩০

স্টাফ রিপোর্টার:

বান্দরবানের লামায় উপজেলায় ক্ষমতাসীনদের আধিপাত্যের মধ্যে দিয়ে তৃতীয় দফা ইউপি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে ভোট গণনার কাজ। শনিবার দুপুরের পর লামা উপজেলার আজিজনগর, ফাইতং, ফাঁসিয়াখালী ও লামা সদর ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের সময় আওয়ামী লীগের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। ৭টি ইউনিয়নের প্রায় ৩০জন আহত হওয়ায় খবর পাওয়া গেছে। তার মধ্যে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীও রয়েছেন।

৩নং ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে বিকাল ৪টার পর ৭নং কেন্দ্র ফাঁসিয়াখালী ১নং রিপুজীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ব্যালেট বক্স ২য় তলায় নেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ লাগে। এ সময় বিক্ষুদ্ধ জনতা বিদ্যালয়ে দরজা ও জানালার গ্রিল ভেঙ্গে ফেলে। ১নং রামথুইপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট ছিঁনিয়ে নেয়াকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ হয়।

৪নং আজিজনগর ইউনিয়নে ৩নং কেন্দ্র চাম্বি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২নং চাম্বি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিপাহী আব্দু রাজ্জাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পূর্বচাম্বি মুসলিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জালভোট প্রদান ও বহিরাগতদের আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। চাম্বি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সমর্থকদের মধ্য সংঘর্ষে ১০ থেকে ১৫ জন আহত হয়। এ সময় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মাস্টার নুরুচ্ছফাও আহত হন। পূর্ব চাম্বিতে পুলিশের আঘাতে ১জন গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে চমেক হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

৭নং ফাইতং ইউনিয়নে ৪নং কেন্দ্র ধুইল্যাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খেদার বাঁধ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।