লামায় জীপের চাকায় পিষ্ট হয়ে রোহিঙ্গা শ্রমিক নিহত
বান্দরবান প্রতিনিধি:
লামায় যাত্রীবাহী জিপের চাকায় পিষ্ট হয়ে রাস্তার উন্নয়ন কাজের নিয়োজিত এক রোহিঙ্গা শ্রমিক নিহত হয়েছে।
শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল ৮টায় লামা-সুয়ালক সড়কের আন্দারীস্থ মজিবরের দোকানের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত রোহিঙ্গা শ্রমিক মো. জোবায়ের (১৯) কক্সবাজার জেলার উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বশির আলমের ছেলে।
প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানান, নিহত জোবায়ের সড়কের উন্নয়ন কাজে বালু পরিস্কার করছিল। এসময় কেয়াজুপাড়া হতে লামামুখি একটি জীপ গাড়ি (ঢাকা-ল-৩৪০) তাকে চাপা দেয়। জিপ গাড়িটির চাকা তার শরীরের উপর দিয়ে গেলে জোবায়েরের শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়। দ্রুত লোকজন তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী লোহাগাড়া মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে তাকে পদুয়া সরকারি হাসপাতালে নেয়ার সময় পথে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় জনতা ঘাতক জীপ গাড়ি ও চালককে আটক করে। আটক চালক আবুল হোসেন লামা পৌরসভার চেয়ারম্যান পাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, নিহত রোহিঙ্গা শ্রমিক জোবায়ের এলজিইডি লামা অফিসের বাস্তবায়নাধী লামা-সুয়ালক সড়কের বাইশপাড়ি হতে কেয়াজুপাড়া পর্যন্ত (চেইনেজ ২০৫০০-২৫০০০) সড়ক মেরামত কাজের শ্রমিক ছিল। কাজটি বান্দরবানের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মায়েশা এন্টার প্রাইজ প্রোপাইটর মো. শাহজাহান করছিলেন।
উদ্বেগের বিষয় হল, লামায় সরকারি-বেসরকারি প্রায় সবকয়টি উন্নয়নকাজে প্রচুর রোহিঙ্গারা শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। এতে করে স্থানীয়দের শ্রম বাজার ধ্বংস হচ্ছে পাশাপাশি রোহিঙ্গারা এইসব এলাকায় অবস্থান করতে গিয়ে নানা অবৈধ কাজের সাথে জড়িত পড়ছে। তাদের কারণে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্ন হচ্ছে বলে জানা যায়।
কম টাকায় রোহিঙ্গাদের শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করা এইসব ঠিকাদারদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে এলাকাবাসী অনুরোধ করেছেন।
এ উন্নয়ন কাজে আরও অনেক রোহিঙ্গা শ্রমিক কর্মরত আছে।
এই ঘটনার বিষয়ে ঠিকাদার মো. শাহজাহান এর মুঠোফোনে অসংখ্যবার কল করলে সে ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরই পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কাসেম আলী বিশ্বাস বলেন, আমি শোনা মাত্র ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। মুমূর্ষ জোবায়েরকে চিকিৎসার জন্য লোহাগাড়া পাঠানো হয়। নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়েছে। সে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।