লামার মিরিঞ্জায় জিপগাড়ি দূর্ঘটনায় নিহত ৮, আহত ২৫

লামা প্রতনিধি:

উপজেলার আলীকদম-চকরিয়া সড়কের মিরিঞ্জা নামক স্থানে চান্দের গাড়ি (জিপ) দূর্ঘটনায় চার শিশুসহ ৮জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে অন্তত আর ২৫ জন।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে আলীকদম থেকে যাত্রীবাহি জিপটি চকরিয়া যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে  চারজনের নাম ও পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলো, আলীকদম সদরের নয়াপাড়া এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে জাহেদুল ইসলাম (১০), মো. শফি আলমের ছেলে ছরোয়ার হোসেন (১৫), আলীকদম পান বাজার সিলেটিপাড়া এলাকার মো. মোজাম্মেল হকের ছেলে মো. আছাদ (১৪), চকরিয়া বেতুয়া বাজার এলাকার মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে মোজাম্মেল হক।

আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম জানিয়েছেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের আনন্দ উপভোগ করার জন্য আলীকদম থেকে প্রায় ৩৫জন শিশু ও কিশোর যাত্রীবাহি জিপগাড়ি (ঢাকা ল -২১২) যোগে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য চকরিয়া যাচ্ছিলেন। গাড়ির ভিতরে ও উপরে ছাদে প্রায় ৫৬জন যাত্রী ছিল। মিরিঞ্জা এলাকায় পৌঁছলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে গাড়ি থেকে লাফিয়ে পড়ে পালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে কিছু দুর গিয়ে সড়কের পাশের গাছের সাথে ধাক্কা লেগে গাড়িটি দুমরে মুচড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় জনসাধারণ দূর্ঘটনার শিকার যাত্রীদের উদ্ধার করে চকরিয়া, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। আহতদের অবস্থা খুবই আশঙ্কা জনক।

নিহতদের মধ্যে চারজনের পরিচয় নিশ্চিত করা গেলেও একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাৎক্ষনিক বাকীদের নাম ও ঠিকানা জানা যায়নি। গুরুতর আহতরা হল, ওমর ফারুক (১২), রঞ্জু বড়ুয়া (২৬), সমিত বড়ুয়া (৩২), নুরুল আলম (৬৫), ওসমান ছরোয়ার (১২), রোকন উদ্দিন (২০), অনিল ধর, রিমন (১৫), বাবুল (২২), আকাশ (১২), দেলোয়ার (২২), আব্দুল্লাহ (১৪), তন্বয় (৫০), রিটা ত্রিপুরা (২৫), বুদ্ধি (২৫) ও ফসিউল ১৬। এছাড়া আরো কয়েকজনের নাম জানা যায়নি।

লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, দূর্ঘটনা লামার মিরিঞ্জায় ঘটলেও হতাহতদের চকরিয়া, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ কারণে নিহতের সংখ্যা এখনো নিশ্চিত হয়ে বলা যাচ্ছে না। যাত্রীরা বান্দরবানের আলীকদম ও কক্সাবাজারের চকরিয়া উপজেলার বাসিন্দা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন