লন্ডনে দুই নেত্রীর মধ্যে সংলাপের কোনো সম্ভাবনা নেই: ওবায়দুল কাদের
রাঙামাটি প্রতিনিধি:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতিতে মেরুকরণ ঘটার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়ে সড়ক, পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এতে দুই নেত্রীর মধ্যে সংলাপ নিয়ে আপাতত কোনো সম্ভাবনা নেই। শুক্রবার বিকালে রাঙামাটির চন্দ্রঘোনা ফেরি চলাচল ঘাট পরিদর্শনে গিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা দু’জনেই লণ্ডনে অবস্থান করছেন, শোনা যাচ্ছে সেখানে দুই নেত্রীর মধ্যে সংলাপের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে নয়া মেরুকরণ আসতে পারে- এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে সাংবাদিকদের প্রশ্নে সড়ক, পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী বলেন, যেই মেরুকরণ দেশে নিজের ঘরে হয় না সেখানে তা নিয়ে বিদেশে সংলাপের কোনো সুযোগ নেই। যেখানে যারা নিজের ঘরে সাক্ষাতের দরজা বন্ধ করে ফেলে সেখানে তাদের সঙ্গে কোনো রকম সংলাপ হতে পারে না। মন্ত্রী উল্লেখ করে বলেন, শোকাতুর মায়ের পাশে প্রধানমন্ত্রী গিয়েছেন সমবেদনা জানাতে- কিন্তু তখন তারা আপন ঘরের দরজা বন্ধ করে। তখনই তারা নিজেরাই সংলাপের সব দরজা বন্ধ করে দিয়েছে।
বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে অষ্ট্রেলিয়ার আশংকা প্রশ্নে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, অষ্ট্রেলিয়ার এ ধরনের আশংকা সম্পূর্ণ অমূলক। এটা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষু করার জন্য স্রেফ অপপ্রচার। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের দুই এমপি বাংলাদেশ সফর করে তাদের প্রতিবেদনে স্বীকার করে বলেছেন যে, বাংলাদেশের বর্তমান আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি অত্যন্ত ভালো এবং সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।
পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন প্রশ্নে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে সন্তু লারমারা এখন আন্দোলন করছেন বটে- কিন্তু সরকার এ পর্যন্ত শান্তিচুক্তির অধিকাংশ শর্ত বাস্তবায়ন করেছে। যে কারণে এক সময়ে পিছিয়ে পড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্যাপক উন্নতি হচ্ছে। গত সাড়ে তিন বছরে রাঙামাটি থেকে সাজেক, বন্দরবান থেকে নীলগিরি-কক্সবাজার পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ যে কোনো উন্নয়নের সমান সুবিধা ভোগ করছেন। এখন পিছিয়ে পড়া পার্বত্য অঞ্চলের অবসান ঘটেছে। শান্তিচুক্তি এ সরকার করেছে। তাই এ চুক্তির সবকিছু বিষয় অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে এ সরকার। সরকার এ মেয়াদেই শান্তির নব্বই ভাগ বাস্তবায়ন করবে- এটা সবাইকে আশ্বস্ত করে বলতে পারি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এলাকাবাসীর দাবির কথা বিবেচনা করে রাঙ্গামাটি-বান্দরবান সড়ক সংযোগের জন্য চন্দ্রঘোনায় সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তবে এই মুহূর্তে তা শুরু করা যাবে না। কারণ এখানে অনেক অর্থের প্রয়োজন। রাঙামাটি-লংগদু সড়কের নানিয়ারচর সেতু এবং ঠেগামুখ স্থলবন্দর চালুর জন্য রাঙামাটি-মিজোরাম রাস্তা নির্মাণ কাজ এখন প্রক্রিয়াধীন আছে। এগুলো বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।