Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

লক্ষ্মীছড়িতে মৎস্য প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ

KPeZ`_Z_

স্টাফ রিপোর্টার:

খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় মৎস্য চাষ প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে রাঙ্গামাটি জেলা মৎস্য অফিস থেকে বাস্তবায়িত পার্বত্য চট্রগ্রাম অঞ্চলে মৎস্য চাষ সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের (৩য়পর্যায়) লক্ষীছড়ি উপজেলার মংহলা পাড়া এলাকার একটি প্রকল্পের বাঁধা নির্মাণের পরপরই ধ্বসে যায়।

খবর নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে প্রকল্পের কোন চিহ্ন নেই। ক্রিক বা বাঁধ স্থাপনের নামে সেখানে যা করা হয়েছে তা প্রকল্প অর্থ অপচয়ের নমুনা মাত্র। বাঁধে পাকা সেচ ড্রেইনের বদলে করা হয়েছে তিন ফুট ব্যাসের একটি কাঁচা ড্রেইন।সে কারনে তা অল্পতেই ধ্বসে পড়ে।

একই উপজেলায় বাস্থবায়িত অন্যান্য প্রকল্পের মালিকগণ বলেন, আমরা প্রকল্পের ঠিকাদার এবং দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাকে কোন দিন দেখিনি। প্রকল্পের কাজে জড়িত থাকা লোকজন নিজেদের ইচ্ছা মতো কাজ করে চলে যায়। এ ব্যাপারে জেলা অফিসে যোগাযোগ করেও কোনো লাভ হয়না।

তবে এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ববি এন্টার প্রাইজ’র মালিকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

রাঙ্গামাটি জেলা মৎস্য অফিসে ঠিকাদারী কাজে অংশগ্রহণকারী তাজুল ইসলাম, যত্নেশ্বর ত্রিপুরাসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন বলেন, দরপত্রে অংশগ্রহণ করে ২০ শতাংশ নিন্মদরে নির্বাচিত হওয়ার পরও ৮ শতাংশ হারে অর্থ অগ্রিম দিয়ে কাজ নিতে হয়। অফিসকে দিতে হয় ১২ শতাংশ। সেই সাথে মাঠ পর্যায়ের অফিসকেও কিছু দিতে হয়, তাহলে কাজের মান কিভাবে ভালো হবে। তবে যারা একবার এসব কাজ নিয়েছেন তারা অফিসের সাথে ভাল সর্ম্পক না রাখলে ক্ষতির স্বীকার হন। প্রকল্পের মালিক সাজাইউ মার্মা অভিযোগ করে বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কালীন সময়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী একবারও প্রকল্প বাস্তবায়ন স্থানে আসেননি।

এ অনিয়মের সংবাদ একটি গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে ১৬ ফেব্রুয়ারি রাঙ্গামাটি জেলা মৎস্য অফিসের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফারুখ হোসেন সরেজমিনে তদন্তে আসেন। এ সময় লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা উচিত ময় চাকমা উপস্থিত ছিলেন।

বাঁধ নির্মাণে ত্রুটি এবং যথাযথ নিয়ম নীতি না মানার প্রমাণ মিললেও অতি বৃষ্টিতে বাঁধ ভেঙ্গে যেতে পারে বলে তদন্ত কর্মকর্তা দাবি করেন। তবে ঠিকাদারকে কাজটি শেষ করার নিদের্শ দেয়া হয়েছে বলে জানান লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা উচিত ময় চাকমা।

এছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কালীন সময়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী একবারও প্রকল্প এলাকায় আসেননি বলে প্রকল্পের মালিক সাজাই মার্মা যে অভিযোগ করেন তা সঠিক নয় বলে দাবি করেন উক্ত তদন্ত কর্মকর্তা।

জানা যায়, ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে বাস্তবায়িত পার্বত্য চট্রগ্রাম অঞ্চলে মৎস্য চাষ সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের (৩য় পর্যায়) এর লক্ষীছড়ি উপজেলায় মোট ৩৮টি প্রকল্প গ্রহণ করে। এর মধ্যে ১৮টি প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা জানান, লক্ষ্মছড়ি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা। ১৬টি টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বর্তমানে ৪টি মৎস্য বাঁধ প্রকল্পের কাজ চলছে।

প্রকল্প গুলো হলো, জুর্গাছড়ি এলাকায় আইয়ূব আলীর মৎস্য ও ক্রিক বাঁধ, বড়মুড়া এলাকায় সুশূমালা চাকমার মৎস্য বাঁধ নির্মাণ, দুল্যাতলী এলাকায় তিপরাছড়ি মনোমহোন চাকমার মৎস্য ও ক্রিক বাঁধ নির্মাণ ও মরনছড়ি এলাকায় সেকান্দার চাকমাে মৎস্য ও ক্রিক বাঁধ নির্মাণ।

বাস্তবায়িত এসব প্রকল্প সম্পর্কে জানতে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা উচিৎ ময় চাকমা বলেন, লেখালেখি করে কি লাভ। কিছু একটা চাইলেই তো পারেন। আমি ঠিকাদারকে বলে এনে দিতে পারি। এসব কথা বলে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার সুর তোলেন ওই কর্মকর্তা। এছাড়াও আমাদের এখানে কোনো হাত নেই, সব কিছু করে রাঙ্গামাটি থেকে। তবে প্রকল্পের বিপরীতে কত টাকা বরাদ্দ তা তিনি জানাতে পারেন নি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন