লক্ষ্মীছড়িতে প্রসুতিকে বাঁচাতে সেনাবাহিনীর এম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সহায়তা
স্টাফ রিপোর্টার:
লক্ষ্মীছড়ি হাসপাতালের এ্যাম্বুল্যান্স বিকল। এ উপজেলায় বিকল্প আর কোনো যানবাহনের ব্যবস্থা নেই। লক্ষ্মীছড়ি থেকে মানিকছড়ি দুরত্ব ১৫ কি: মি: এবং ফটিবছড়ির দুরুত্ব প্রায় ৪০ কি: মি:।
একদিকে শিশুর অনাগত ভবিষ্যত জীবন আর মাকে বাঁচানো- এই অবস্থায় ডাক্তার রেফার করলেন দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিতে হবে তা না হলে মা ও সন্তান বাঁচানো কঠিন হবে।
গত শনিবার এই পরিস্থিতে সাহায্যের হাত বাড়ালেন লক্ষ্মীছড়ি সেনা জোন। সেনাবাহিনীর ডাক্তার ও এ্যাম্বুলেন্স ছুটে আসলো আর্শিবাদ হিসেবে। প্রথমে ফটিকছড়ি স্কয়ার এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সন্ধ্যার কিছু পর গাইনী ডাক্তারের সহায়তায় জন্ম নেয় ফুটফুটে ছেলে সন্তান। নবজাত শিশু ও মা উভয় সুস্থ আছেন।
নবজাত শিশুর পিতা মো: মজিবুর রহমান এ প্রতিনিধিকে বলেন, এই চরম বিপদ মুর্হুতে আল্লাহর অশেষ কৃপায় যদি সেনাবাহিনীর সহযোগীতা না পাইতাম তাহলে হয়ত স্ত্রী ও সন্তানকে হারাতে হতো।
তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল মুহম্মদ নুরুল আমিন ও অন্যান্য সেনা অফিসার এবং লক্ষ্মীছড়ি হাসপতালের ডাক্তারসহ যারা সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছেন সকলের প্রতি।
উল্লেখ্য এর আগেও লক্ষ্মীছড়ি থানার পুলিশ কনেষ্টেবল মংজয় চাককে অপর সহকর্মী পুলিশ কর্তৃৃক কোপের আঘাতে মারাত্বক জখম হলে জোন কমান্ডারের তড়িত হস্তক্ষেপে সেনা বাহিনী বিশেষ হেলিকপ্টার দিয়ে চট্টগ্রাম সিএমএইএ ভর্তি করে জরুরী চিকিৎসা সেবায় প্রাণ বেঁচে যায়।
এছাড়াও সম্প্রতি প্রত্যন্ত দুরছড়ি উপজাতীয় অধ্যুষিত এলাকায় ডাইরিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে প্রায় ৩০টি পরিবারের নারী-পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধসহ শতাধীক মানুষ আক্রান্ত হয়ে পড়ে। এ সময় এক শিশু মারাও যায়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর ডাক্তার গিয়ে জরুরী ওষধ ও চিকিৎসা সেবা দিয়ে সকলকে সুস্থ্য করে তুলেন। পার্বত্যবাসীর জনকল্যাণ ও মানবসেবায় সেনাবাহিনীর এ প্রশংসনীয় উদ্যোগ অনন্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে।