লংগদু উপজেলা আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন

লংগদু প্রতিনিধি:

রাঙ্গামাটির লংগদুতে ১জুন যুবলীগ নেতা নুরুল ইসলাম নয়নের হত্যাকাণ্ডের জের ধরে ২জুন লংগদু সদর এলাকায় কয়েকটি স্থানে পাহাড়িদের বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ক্ষমতাসীন বর্তমান আওয়ামী সরকারের নেতৃবৃন্দকে ঘটনার নেতৃত্ব দানকারী বলে উল্লেখ করে লংগদু জনসংহতি সমিতি একটি প্রস্তুক বের করেন। প্রকাশিক পুস্তকের সকল তথ্যাবলী মিথ্যা ও বানোয়াট আখ্যায়িত করে সাংবাদ সন্মেলন করেছে লংগদু উপজেলা আওয়ামী লীগ।

শুক্রবার, উপজেলা সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সন্মেলনের আয়োজন করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক সরকারের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ কপির লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য মো. জানে আলম।

প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখ করেন, ১জুন যুবলীগ নেতা নুরুল ইসলাম নয়নের হত্যাকাণ্ডের পর গত ২জুন নয়নের লাশের জানাজার নামাজের জন্য বাইট্টাপাড়া থেকে লংগদু মাঠে মিছিল নিয়ে আসার পথে মিছিলের মধ্যে বিএনপি, জামাত ও কিছু উগ্র সম্পাদায়িক সংগঠনের কিছু লোক মিছিল থেকে পাহাড়িদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে।

ঘটনার পর লংগদু জনসংহতি সমিতি একটি প্রস্তুক বের করেন। প্রকাশিত পুস্তকে যেভাবে ক্ষমতাসীন বর্তমান আওয়ামী সরকারের নেতৃবৃন্দকে ঘটনার নেতৃত্ব দান কারী বলে উল্লেখ করেছেন, তা সর্বাঙ্গে মিথ্যা। বরং সকল নেতৃবৃন্দ যার যার অবস্থান থেকে এ ঘৃণ্য কর্মের বিরোধীতা করেছে।

ঘটানার পর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব দীপংকর তালুকদার সার্বক্ষনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাথে যোগাযোগ রাখেন। ঘটনার দুই দিন পরে তথা গত ৪ জুন নয়নের পরিবারের সাথে দেখা করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ও পরিবারের সাথে দেখা করেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আশস্থ করে বলেন ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে ছাড় না দেওয়ারও ঘোষণা করেন এবং নয়ন হত্যার  বিচারেরও আশস্থ করেছিলেন। তারপরও জনসংহতি সমিতি বিষাদগার করার জন্য পুস্তকে জননেতা দীপংকর তালুকদারের জনপ্রিয়তাকে হীন ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করেন। যা উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ হতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

পুস্তকে যাদের নামের তালিকা দেয়া হয়েছে সেখানে লংগদু উপজেলা আওয়ামী পরিবারের সে সকল ব্যক্তিদের দেখানো হয়েছে তা অনেকেই আওয়ামী পরিবারের সাথে জড়িত নয়। বাকিরাও যে এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত তারও কোন সুনিদির্ষ্ট প্রমাণাদি আমাদের জানা নাই।

পুস্তকে উল্লেখ করা হয়, লংগদুতে সাম্প্রদায়িক হামলা লুটপাট, অগ্নিসংযোগ সরকার দলীয় লোকজন নেতৃবৃন্দকে অর্থাৎ লংগদু আওয়ামী লীগকে সরাসরি দায়ী করে যে সমস্ত লেখা প্রকাশিত হয় তা মিথ্যা, বানোয়াট, বিভ্রান্তিকর ও কল্পিত কাহিনী। যা আমাদের জন্য অত্যান্ত পিড়াদায়ক। আমরা লংগদু উপজেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

কিন্তু বাস্তবে খবর পেয়ে স্থানীয়ভাবে দলীয় লোকজন দ্রুত মাঠে নেমে ঘটনার নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে এবং স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করে।ওই ঘটনার সাথে কোন ভাবেই আওয়ামী লীগ তথা অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের লোক জড়িত ছিল না। তারপরও বিএনপি, জামাত ও কিছু উগ্র সম্পাদায়িক সংগঠন সাথে নিয়ে জনসংহতি সমিতির কিছুদিন আগে তারা একটি পুস্তক রচনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক সরকার, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল রহিম, সহ-সভাপতি সেলিম মেম্বার, হোসেন আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. জানে আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল দাশ (বাবু), হারুনুর রশিদ, বাংলাদেশ কৃষকলীগের সভাপতি মো. মোস্তাফা, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি জিয়াউল হক, সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, রাকিব হোসেন, ছোটন দাশসহ আরো বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন