Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

লংগদুতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন

লংগদু প্রতিনিধি:

রাঙামাটির লংগদু উপজেলার মাইনীমূখ ইউনিয়নের মুসলিমব্লক এলাকায় বিয়ের দাবিতে মাঘের কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন চলছে।

বুধবার সকালে এই নিয়ে এলাকায় জনসাধারনের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে প্রেমিক নূর নবীর বাড়িতে ভীড় জমায় এলাকাবাসী। প্রেমিক নুর নবী (২০) ও প্রেমিকা সাজেদা ইয়াছমিন (১৯) স্থানীয় কলেজে পড়ার সময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয় বলে জানা যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাত থেকে আবুল হাসেমের ছেলে প্রেমিক নুর নবী (২০) এর বাড়িতে কালাপাকুজ্যা ইউনিয়নের সাজেদা ইয়াছমিন (১৯) নামে এক যুবতী বিয়ের দাবিতে বাড়ীর সামনে অবস্থান নেয়। এর আগেও দুইবার একই দাবিতে ছেলের বাড়ির সামনে অবস্থান নিলে, ছেলের অভিভাবকরা বুঝিয়ে, আশ্বাস দিয়ে মেয়েটিকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। তবে, বর্তমানে ছেলের পরিবারে ছেলের বৃদ্ধা দাদী ও এক প্রতিবন্ধী চাচা ছাড়া আর কেউ বাড়িতে নেই বলে প্রতিবেশীরা জানান।

প্রেমিকা সাজেদা ইয়াছমিন বলেন, গত দেড় বছর আগ থেকেই আমার সহপাঠী নূর নবীর সাথে মনের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পারিবারিকভাবে আমার বিয়ের প্রস্তাব আসলেও নূর নবী আমাকে বিয়ে না বসার জন্য চাপ দিত এবং সে আমাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। গত কয়েক মাস পূর্বে নূর নবী আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি নূর নবী চট্টগ্রামে অবস্থান করছে এবং তার পরিবার সেখানেই তার বিয়ের ব্যবস্থা করেছে। এখন আমার দাবি নূর নবীসহ তার পরিবারের লোকজন এখানে এসে বিষয়টির সুরহা না করা পর্যন্ত আমার অনশন চলবে বলে জানান প্রেমিকা সাজেদা ইয়াছমিন।

মাইনীমূখ ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য আজগর আলী বলেন, আমি বর্তমানে এলাকার বাহিরে আছি। স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছি, যাতে উভয় পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে স্থানীয়ভাবে এই বিষয়টি মিমাংসার করা হয়।

লংগদু থানার ওসি (তদন্ত) মহিউল খবর পেয়ে প্রেমিকা ইয়াছমিনকে অনশন অবস্থা থেকে বুঝিয়ে তার অভিভাবকের কাছে পাঠান এবং পনের দিনের মধ্যে বিষয়টি স্থানীয় সামাজিকভাবে মিমাংসা করার জন্য উভয় পরিবারের প্রতি অনুরোধ করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন