লংগদুতে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিনিধি, রাঙামাটি:

রাঙামাটির লংগদু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে এসে আব্দুল আহাদ (২৪) নামের এক কাপড় ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১ জুলাই) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। ব্যবসায়ী আহাদ ওই উপজেলার কালাপাকুইজ্যা ইউনিয়নের রশিদপুর গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, ব্যবসায়ী আহাদ শনিবার রাতের দিকে বুকে ও পিঠে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করেন। তারপরও ব্যাথা নিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকাযোগে তিনি উপজেলার কাট্টলী এলাকার রাঁধামন বাজারে কাপড় বিক্রির উদ্দেশ্য যাত্রা করেন। ব্যাথার পরিমাণ বাড়ায় তিনি বাজারে না গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে এসে তাকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ডাক্তারদের প্রতি অনুরোধ করতে থাকেন। কিন্তু তার আহ্বানে কোন ডাক্তার আসেননি। সময় মতো চিকিৎসা না দেওয়ায় এ ব্যবসায়ীর মত্যু হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

স্থানীয়রা আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারদের অনুপস্থিতি এবং রোগীদের অবহেলার কারণে চিকিৎসা সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকেও কাপড় ব্যবসায়ী আহাদের মত্যুর জন্য ডাক্তারের অবহেলাকে দায়ী করে পোস্ট দিচ্ছেন অনেকে।

তবে চিকিৎসা দিতে অবহেলার কথা অস্বীকার করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সোর আবাসিক চিকিৎসক ডা. তন্ময় বড়ুয়া। তিনি জানান, নিহত ব্যবসায়ী আহাদ বুক ও পিঠের ব্যাথা নিয়ে রোববার ভোরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেন। এসময় কর্তব্যরত সেবিকারা আহাদকে দ্রুত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। কিন্তু চিকিৎসা সরঞ্জামাদি না থাকায় এ রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি জানান।

এ চিকিৎসক ক্ষোভের সাথে বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে ইসিজি মেশিনটি নষ্ট। ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বারংবার বলেছি এবং লিখিত ভাবে জানিয়েছি। কিন্তু মেশিনটি এখনো মেরামত করা হয়নি।

এছাড়া এ ধরনের রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য পালস অক্সিমিটার মেশিন, বুকের এক্সরে মেশিন, ইনজেকশন নরেট এবং ইনজেকশন ডুকামিনের দরকার। এসমস্ত মেশিন বা সরঞ্জমাদি স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নেই বলে জানান ডা. তন্ময়।

তিনি আরও বলেন, আমি আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে চেষ্টা চালাচ্ছি রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে।

রোগী আহাদের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে ডা. তন্ময় জানান, তৎক্ষণাৎ আমরা রোগীকে ক্যানোলা পুশ করে স্যালাইন লাগালে তার মৃত্যু ঘটে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন