লংগদুতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সমূহকে যথাযথ পুনর্বাসন করা হবে
নিজস্ব প্রতিনিধি :
রাঙামাটির লংগদুতে যুবলীগ নেতা নয়ন হত্যাকে কেন্দ্র করে পাহাড়িদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের একটি প্রতিনিধি দল। শনিবার সকালে উপজেলা বিশ্রামাগারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ক্ষতিগ্রস্থ পাহাড়ি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা সভা করে প্রতিনিধি দলের প্রধান পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কামাল উদ্দীন তালুকদার। এ সময় সাথে ছিলেন উপ-সচিব সুদত্ত চাকমা।
সভায় তারা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, যা ঘটেছে তা খুবই মর্মান্তিক। এখন সকলের চেষ্টায় বর্তমান অবস্থা থেকে পরিত্রানের পথ খুঁজতে হবে। অভিমান অভিযোগ নিয়ে বসে না থেকে কিভাবে বাঁচা যায় তা ঠিক করতে হবে। সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলে বিষয়টির গুরুত্ব আছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সমূহকে যথাযথ পুনর্বাসন করা হবে।
তারা আরো বলেন, সব ভেদাভেদ ভুলে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। সন্দেহ অবিশ্বাস দূর করতে পাহাড়ি বাঙালি সবাইকে কাজ করতে হবে। সাধারণ পাহাড়িদের নির্ভয় দিতে হবে তাদের আস্থা অর্জন করতে হবে। তবেই শান্তি ফিরে আসা সম্ভব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাজুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌহিদুল ইসলাম, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক সরকার, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য জানে আলম, জনসংহতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিশংকর চাকমা, ইউপি চেয়ারম্যান মঙ্গল কান্তি চাকমা, কুলিন মিত্র চাকমা (আদু) সহ স্থানীয় পাহাড়ি ও বাঙ্গালি কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এরপর সকাল ১১টায় প্রতিনিধিদল ক্ষতিগ্রস্থ তিনটিলা এলাকার পুড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য গত ১ জুন লংগদুর যুবলীগ নেতা ও মোটরসাইকেল চালক নুরুল ইসলাম নয়নকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করে লাশ ফেলে রাখে দিঘীনালা-খাগড়াছড়ি সড়কের চারমাইল এলাকায়। পরের দিন নয়নের লাশসহ শোক মিছিল নিয়ে উপজেলা মাঠে যাওয়ার সময় কিছু দুস্কৃতিকারী পাহাড়িদের দোকান ও বসতঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে পাহাড়িদের দুশতাধিক ঘর পুড়ে যায়। এ ঘটনায় লংগদু থানা পুলিশ বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং পাহাড়িদের পক্ষে আরো ৯৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০০ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়েছে ।