Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

লংগদুতে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার

নিজস্ব প্রতিনিধি:

যুবলীগ নেতাকে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে লংগদুতে ২১২টি পাহাড়ি পরিবারের বসতঘর ভষ্মিভূত করে দেয়ার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার। গত দুইমাস ধরে কার্যত গৃহহীন এ পরিবারগুলো বর্তমানে তিনটিলা বনবিহার, মানিকজোরছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লংগদু সরকারি হাইস্কুল ও লংগদু বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীনিবাসে আশ্রয় নিয়ে আছেন। আর কেউ কেউ অস্থায়ী টংঘর নির্মাণ করে অবস্থান নিয়েছেন পুড়ে যাওয়া বসতভিটার পাশেই।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের পরিচালক ও যুগ্ম সচিব আবুল কালাম শামসুদ্দিন স্বাক্ষরিত এক পত্র লংগদু উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে, সেই পত্র সূত্রে জানা গেছে, ২১২টি পরিবারের জন্য ৩ কক্ষ বিশিষ্ট একটি সেমিপাকা ঘর, ১টি রান্নাঘর ও ১টি শৌচাগার এবং ভষ্মিভূত ৮টি দোকানঘর পুনর্নিমাণের জন্য অর্থ বরাদ্দের অনুরোধ জানানোর প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রাক্কলন প্রনয়ণের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্পকে নির্দেশনা দিয়েছে।

ওই পত্রে বলা হয়, আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের ২য় সংশোধিত ডিপিপি-তে পার্বত্য ৩ জেলায় উপজাতি জনগোষ্ঠির জন্য বিশেষ ডিজাইনের ঘর নির্মাণের সংস্থান রয়েছে।

পত্রে প্রতিটি ঘরের প্রাক্কলিত মূল্য আইটিভ্যাটসহ ৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করে চাহিদা অনুসারে আইটি ভ্যাট (১০%) বাদে ৪ লক্ষ ৭২ হাজার টাকার বসতগৃহ নির্মাণের প্রাক্কলন ও নক্সা জরুরিভাবে প্রেরণ করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অনুরোধ করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ১ জুন রাঙামাটির লংগদু উপজেলার সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পেশায় মোটর সাইকেল চালক নুরুল ইসলাম নয়নকে হত্যা করে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা। ওইদিন খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় নয়নের লাশ পাওয়া যায়। অভিযোগ করা হয়, পরদিন ২ জুন নয়নের লাশ লংগদুতে আনার পর একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল তার লাশসহ মিছিল সহকারে উপজেলা পরিষদ মাঠে জানাজার জন্য যাওয়ার পথে তিনটিলা,বাইট্টাপাড়া ও মানিকজোড় গ্রামের পাহাড়ীদের বসতবাড়িতে ব্যাপকভাবে অগ্নিসংযোগ করে। এসময় পাহাড়িদের অন্তত ২১২টি পরিবারের বসত, দোকানসহ ২২৬টি স্থাপনা পুড়ে যায়। ভষ্মীভূত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন প্রকল্পের একটি পাড়াকেন্দ্রও। এসময় পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক প্রতিনিধিদল।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন