রোহিঙ্গা সঙ্কট: মিয়ানমার-বাংলাদেশে আসছেন পোপ

নিজস্ব প্রতিনিধি:

ক্যাথলিক খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস এ বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফরে আসছেন। মিয়ানমারের সেনা ও সশস্ত্র ব্যক্তিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পলায়নরত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য পোপ ফ্রান্সিস নিজের অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করার পর এ ঘোষণা দেয় ভ্যাটিকান।

নভেম্বরের শেষে ও ডিসেম্বরের শুরুতে পোপের এ ঐতিহাসিক সফর শুরু হবে। সফরের প্রথমে তিনি ধর্মীয় সহিংসতা আক্রান্ত বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে যাবেন। পরে সেখান থেকে মিয়ানমারের সংঘর্ষের কারণে আশ্রয়হীন হয়ে পড়া হাজার হাজার রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ বাংলাদেশে আসবেন। ২৭-৩০ নভেম্বর পোপ প্রথমে মিয়ানমার সফর করবেন। সেখানে প্রথমে তিনি ইয়াংগুনে এবং পরে মিয়ানমারের রাজধানী নেপাইথোতে যাবেন। এরপর ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা সফর আসবেন পোপ। ২ ডিসেম্বর তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন।

এদিকে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ভ্যাটিকান দূতাবাস ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে ভ্যাটিকানের সময়ের সঙ্গে মিল রেখে একযোগে পোপের সফরের ঘোষণা দেয়া হয়। এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের শীর্ষ নেতা কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি রোজারিও এবং ঢাকায় ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক কোরের ডিন জর্জ কোচেরি বক্তব্য রাখেন। কার্ডিনাল প্যাট্রিক রোজারিও বলেন, রোহিঙ্গারাও মানুষ। মানুষ একটা ঠিকানা নিয়ে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। রোহিঙ্গারা আমাদের ভাই, বোন।

ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত জর্জ কোচেরি বলেন, রোহিঙ্গাদের বর্তমান পরিস্থিতিতে পোপ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কাকরাইলে আর্চবিশপ হাউসে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বহু বছর ধরে জাতিবিদ্বেষসহ বিভিন্ন কড়াকড়ির মধ্যে বসবাস করে আসা সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য পোপ ফ্রান্সিস প্রায় সময়েই তার মনোবেদনার কথা প্রকাশ করে থাকেন।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র রোহিঙ্গাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় হাজার হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। বিশেষ করে গত কয়েক দিন ধরে রাখাইনে ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর পালানোর ঘটনা বেশ বেড়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন