Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

রোহিঙ্গা সঙ্কটে ভারতের বড় ভূমিকা চায় বাংলাদেশ, আগুন গোটা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে হুঁশিয়ারি

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

মিয়ানমারের সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা মুসলিমকে সামাল দিতে ভারতের কাছ থেকে আরো বড় ভূমিকা কামনা করে বাংলাদেশ বলেছে, বিষয়টি এখনই হয়তো ভারতকে সরাসরি আক্রান্ত করছে না, তবে ভবিষ্যতে এটি বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে।

ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশের আগুন’ পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। তা-ই ভারতের জন্য বিচক্ষণ হবে ‘পারস্পরিক স্বার্থে’ কাজ করা।

ভারতের রাজধানীতে ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাবে সাংবাদিকদের মোয়াজ্জেম আলী বলেন, প্রতিবেশী দেশে আগুন লেগেছে। পুরো অঞ্চলে এই আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা নেভানো দরকার।  সব ধরনের চরমপন্থার সামনে এসব মানুষ অরক্ষিত। পারস্পরিক স্বার্থেই একসাথে কাজ করা উচিত।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের আগমনের কেন্দ্রবিন্দু মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্য-সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে নয়া দিল্লি ও ঢাকা হয়তো একই অবস্থানে নেই। এর সাথে ভারতের অভিন্ন সীমান্তও নেই।

কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া উদ্বাস্তুদের জন্য ত্রাণ পাঠানোর ভারতের ভূমিকায় প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আপনারা এখন নিরাপদ আছেন, কিন্তু কত দিন থাকবেন? একসাথে কাজ করাটা আমাদের অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট। আজ হয়তো আমার বাড়ি পুড়ছে, কিন্তু কাল নিশ্চিতভাবেই আপনার বাড়িতে তার প্রভাব পড়বে।

ভারত থেকে ৪০ হাজার রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুকে বহিষ্কার নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিতে তিনি রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘এটা আপনাদের দেশের ব্যাপার।’

তবে তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, বাংলাদেশে আসা উদ্বাস্তুদের ‘৬০ ভাগ’ নারী, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি। তারা ‘অসহনীয় পরিবেশে’ বাস করছে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর নৃশংসতা চালানোর কারণে এবং তাদের মধ্যে ক্রোধ সৃষ্টি হওয়ায় রাখাইন রাজ্য চরমপন্থীদের জন্য প্রজনন ভূমিতে পরিণত হয়েছে।

তিনি রোহিঙ্গা হিন্দুদের গণকবর আবিষ্কার প্রসঙ্গে বলেন, এটা সম্ভবত দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির জন্য মিয়ানমার প্রশাসনের ‘পরিকল্পিত’ চেষ্টা।

তিনি বলেন, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ তাদেরকে (রোহিঙ্গা) তাদের দেশের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করার কারণেই এসব সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে মিয়ানমারে, সেখানেই এর মীমাংসা হওয়া উচিত।

ঢাকায় ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের আসন্ন সফর প্রসঙ্গে মোয়াজ্জেম আলী বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিবদমান যেসব বিষয় এখনো রয়ে গেছে তার অন্যতম হলো পানিবণ্টন ইস্যু।

তিনি বলেন, ‘আমরা যত তাড়াতাড়ি এর সমাধান করতে পারব, ততই মঙ্গল।’

শুষ্ক মওসুমে তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির অনড় ভূমিকা প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা এমন এক ব্যক্তির কাহিনীর মতো যিনি নিজের মা-বাবাকে হত্যার পর নিজেকে এতিম দাবি করছেন।’

 

সূত্র: south asian monitor

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন