রোহিঙ্গা সঙ্কটকে পূঁজি করে পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো

পার্বত্যনিউজ রিপোর্ট:

চলমান রোহিঙ্গা সংকটকে পূঁজি করে পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। রোহিঙ্গা সংকটের আগুন পার্বত্য চট্টগ্রামে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ভেতরে ভেতরে পাহাড়ী উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানা গেছে। বিশেষ করে সামাজিক গণমাধ্যমে এইসব উপজাতীয় সন্ত্রাসী ও তাদের সমর্থক আইডি/পেইজগুলোতে রোহিঙ্গা সঙ্কটকে কেন্দ্র করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িকতা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরণের উষ্কানীমূলক পোস্ট করা হচ্ছে।

এসব পোস্টে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে রোহিঙ্গাদের মতো বাঙালীদের জানমাল ধংস করে তাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাড়া করে পার্বত্য চট্টগ্রামকে স্বাধীন জুম্মল্যান্ড রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার হুমকি দেয়া হয়েছে। একইসাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে অপসারণের জন্য হুমকি দেয়া হয়েছে এই পোস্টগুলোতে।

এ কথা সত্য যে, রোহিঙ্গারা মুসলমান। অপরদিকে তাদের উপর নির্মম নির্যাতনকারী বর্মী সেনাবাহিনী ও ভয়ঙ্কর সাম্প্রদায়িক উইরাথু ভিক্ষু ৯৬৯ বাহিনীর কর্মীরা বৌদ্ধ। তা সত্ত্বে বাংলাদেশে কোনো মুসলমান কোনো বৌদ্ধদের উপর এ কারণে দায়ী বা নির্যাতন করেনি। এমনকি খোদ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি নিজেরাও এই লড়াইকে জিহাদ বা ধর্মীয় না বলে জাতিগত বলে আখ্যা দিয়েছে।

অপরদিকে বাংলাদেশের সাধারণ ও অধিকাংশ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন রোহিঙ্গাদের উপর বর্মী বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজনের নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা রোহিঙ্গাদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে। এমনকি বিষয়টি নিয়ে বর্মী সরকারের সাথে আলোচনা করে তাদের উদ্বেগ জানাতে প্রতিনিধিদল পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই নজির বিশ্বে বিরল।

তা সত্ত্বেও পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা শুধুমাত্র মুসলমান বলে তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে, তাদের হত্যাকরে পাহাড় ছাড়া করার ঘোষণা দিয়েছে। ভয়ঙ্কর সব অস্ত্রের ছবি দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে।

রুদ্র চাকমা নামের এক পাহাড়ী সন্ত্রাসীর আইডি থেকে একে-৪৭ অস্ত্রের ছবি দিয়ে বলা হয়েছে, “ এখনই সময় তিন পার্বত্য জেলা থেকে মুসলিম বাঙালীদের উৎখাত করার, আমাদের বন্ধুদেশ বার্মা যেমন আরাকান রাজ্য মুক্ত করেছে এখন, আমরাও সেভাবেই কাজ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে সহযোদ্ধারা সবাই যন্ত্রপাতি রেদি রাখ যেকোনো সময় নির্দেশনা আসতে পারে।”

স্বাধীন তঞ্চঙ্গা নামের একটি আইডি থেকে বলা হয়েছে, “মিয়ানমার যেভাবে রোহিঙ্গাদের পাছায় আগুন দিয়ে  রাখাইন থেকে তাড়াচ্ছে আমাদের আদিবাসী জুম্মদের সেইভাবে অস্ত্র হাতে নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেটেলার বাঙালীদের তাড়াতে হবে। এখানে কোনো মুসলমানের থাকা চলবে না।”

আলীন চাকমা আইডি থেকে পাহাড়ী অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ছবি দিয়ে বলা হয়েছে, “ আমরা প্রস্তুত বালের দেশ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে, পার্বত্য চট্টগ্রামকে রাখাইনের মতো বাঙালী মুক্ত করতে। আপনারা প্রস্তুত তো। পাহাড়ে কোনো মুসলমানের ঠাঁই হবে না আর স্বাধীন জুম্মল্যান্ড না করে আমরা ঘরে ফিরবো না।”

চাকমা রিবেং সিএইচটি জুম্মল্যান্ড গ্রুপে লিখেছে, “…..আমাদের অচিরেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। ১০ লাখ কালা হাবা সেটেলার বাঙালী মুসলমানকে মেরে আমাদের প্রিয় জুম্মল্যান্ডকে বাঙালী মুক্ত করতে হবে।জয় হোক জুম্মজাতির, জয় হোক জুম্মল্যান্ড।স্বাধীন জুম্মল্যান্ডে আন্দোলনের ঝাঁপিয়ে পড়ুক ১০ লাখ জুম্ম আদিবাসী।”

এদিকে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হেয় করে লিখেছে, “বাংলাদেশ ধংস করতে প্রস্তুত বার্মার সাবমেরিন।  বার্মা এই বালের দেশের অস্তিত্বই রাখবে না।”

দেশের প্রতি এই সন্ত্রাসীদের কোনো ভালবাসা যে নেই তার প্রমাণ এই সন্ত্রাসীদের পরিচালিত সিএইচটি জুম্মল্যান্ডের পোস্টটি। এতে লেখা হয়েছে, “ Why we JUMMA people do love other countries than Bangladesh? We are whole heartedly supporting France, USA, Europe countries. Because France, USA, and Europe countries are better than Bangladeshfor Chakmas people.These are not Muslim countries. During, insurgency period of Shanti Bahini, many innocent civilians were killed by Bangladesh Army, those survived orphanage were looked after in France, USA, Europe etc. This clearly seems that how much they love humanity better than Bangladesh. What can Bangladesh do for us? Lang grabbing, killing, rapping, kidnapping, looting and burning houses & Buddhist Temple. So, shamefull… as a part from being Bangladesh is Muslim country, she is financing Rohingya Muslim terrorists from Myanmar.”

এদিকে পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের সামাজিক গণমাধ্যমে একের পর এক উষ্কানীমূলক পোস্ট দেয়ায় ভীত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে সমতলে বসবাসকারী পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ। তারা মনে করছেন পাহাড়ের উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা যাদের বেশিরভাগ বৌদ্ধ তারা যদি উষ্কানীমূলক পোস্টের অনুসারে পাহাড়ে বসবাসকারী বাঙালী মুসলমানদের উপর হামলা করে তাহলে সমতলে তারা অনিরাপদ হয়ে পড়তে পারে। তাই চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসকারী উপজাতীয় বৌদ্ধরা ইতোমধ্যে সমতল ছেড়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে ফিরে যেতে শুরু করেছে।

সমতলের ও পাহাড়ের অনেক বাঙালীই মনে করছেন এই পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা এমন কিছু অন্তর্ঘাতমূলক ঘটনা ঘটাতে পারে যার দায়ভার বাঙালীদের বা বাঙালী মুসলিমদের উপর পড়বে। ফলে তারা বাঙালীদের সতর্ক  ও সচেতন করতে নানা প্রকার পোস্ট দিচ্ছে। এর প্রমাণ পাওয়া যায়, মাহবুবে রব্বানী নামের এক ব্লগারের পোস্ট থেকে। তিনি লিখেছেন,

  • “সতর্কীকরণ:
    ঢাকা চট্রগ্রাম সহ সমতলে অবস্হানরত সকল উপজাতিদের কে আগামী ২৬ তারিখ এর মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় চলে আসার নির্দেশ দিলো উপজাতি সংগঠনগুলো।

    ইতিমধ্যে প্রতিদিন গাড়ী রিজার্ভ করে পাহাড়ে থাকা উপজাতিরা ঢাকা..ত্যাগ করা আরম্ভ করেছে। বেশ কিছু গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে খবর নিয়ে জানা যায় উপজাতি শ্রমিকদের ভিতর রিজাইন দেওয়ার হিড়িক পড়েছে।

    কিন্তু কেনো? তবে কি তারা ৩ পার্বত্য জেলায় বড় রকমের কিছু ঘটাতে যাচ্ছে? যার ফলে সমতলে তাদের লোকদের পাল্টা আক্রান্তের ভয় করছে বা নিরাপদ মনে করছে না?

    নাকি রোহিঙ্গা ইস্যুর সাথে পার্বত্য চট্রগ্রামকে কানেক্ট করার নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে তারা।”

একইভাবে জনপ্রিয় ব্লগার কমরেড মাহমুদ লিখেছেন,

“ সতর্কীকরণ-

রোহিঙ্গা ইস্যুর সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামকে কানেক্ট করার নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক ও সাবধান হবার অনুরোধ করছি। ইতিমধ্যে খবর পেলাম ঢাকা সহ সমতলে যেসব পাহাড়ি উপজাতি বসবাস করে তাদেরকে এলাকায় চলে যেতে বলা হয়েছে।

প্রতিদিন গাড়ি রিজার্ভ করে পাহাড়ি উপজাতিরা ঢাকা ত্যাগ করে পাহাড়ে একত্রিত হচ্ছে। কয়েকটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে খবর নিয়ে জানতে পারলে তাদের উপজাতি শ্রমিকদের ভিতর রিজাইন দেওয়ার হিরিক পরেছে।

যেভাবে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে:

  • ১. পাহাড়ী-বাঙালী দুই পক্ষেই কিছু লাশ ফেলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি।
  • ২. বার্মিজ আর্মির ইন্ধনে বাঙালি/ রোহিঙ্গাদের উপর জেএসএসের আক্রমণ।
  • ৩. জেএসএসের/ আরাকান আর্মির পোশাক পরে বার্মিজ আর্মির বাংলাদেশের প্রবেশ করে পাহাড়ী/বাঙালীদের উপর আক্রমণ। ইতিপূর্বে আরাকান আর্মির সাথে বাংলাদেশ সেনাদের কয়েক দফা যুদ্ধ হয়েছে। এর দায় সরকারের উপর ফেলে দিয়ে বিশ্বের কাছে প্রমান করা বাংলাদেশেও রোহিঙ্গাদের মত উপজাতিদের উপর হামলা হচ্ছে।
  • ৪. বর্তমান অস্থিরতার সুযোগে বড় ধরণের অস্ত্র আমদানী।
  • ৫. জেএসএসের/ আরএসও/ রোহিঙ্গাদের পোশাক পরে বার্মিজ আর্মি/জেএসএসের বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা।
  • ৬. এ ধরণের আরো পরিকল্পনা রয়েছে যা করে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যাকে আরাকান সমস্যার সমান্তরাল করা।

কাজেই যখনই আপনার আশেপাশে কোনো অস্বাভাবিকতা দেখেন সাথে সাথে নিরাপত্তা বাহিনী ও মিডিয়াকে জানান। আর এই নিউজটা শেয়ার করে সকলকে সচেতন করুন।”

কমরেড মাহমুদ যাই লিখুন না কেন। বাস্তবিক পক্ষে উচ্চ পর্যায়ের বৌদ্ধ ধর্মগুরু বরাত দিয়ে যখন একই কথা বলা হয় তখন সাধারণ বৌদ্ধদের মধ্যে তা আতঙ্ক না ছড়িয়ে পরে না।  U Pannya Siri Bhikkhu নামের এক ভিক্ষু তার ফেসবুক আইডিতে উ চহ্লা ভান্তের ছবি ব্যবহার করে গুরু ভান্তের বরাতে তিনি লিখেছেন,

“ গুরু ভান্তের পামর্শ-উপদেশ—সদাশয় সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে পরিস্থিতি শান্ত ও স্থিতিশীল থাকলেও বেশকিচু সুযোগ সন্ধানী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে গিয়ে লুট, ছিনতাই, নারীদের শ্লীলতাহানী ইত্যাদি করতে পারে। তাই বৌদ্ধ জাতি ভাইবোনদের খুব সাবধানে চলাফেরা করতে, বের হতে হলে অন্তত ৫/৬-৮/১০ জন একত্রে বের হওয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান করেছেন গুরুভান্তে। যাদের এ ধরণের সঙ্গী সাথী নাই তাদেরকে ১০/১৫ দিন কোথাও বের না হওয়ার জন্য, অথবা বাড়িতে চলে আসার জন্য বিশেষ করে পাহাড়ী মেয়েদেরকে মৈত্রীপূর্ণ পরামর্শ প্রদান করেছেন। কারোর সাথে তর্ক না করার জন্য ক্ষান্তি গুণে চুপ তাকার জন্যও পরামর্শ প্রদান করেছেন। সর্বদা ত্রিরত্নের ছায়ায় থাকুন। (যারা ঢাকা, চিটাগাং, কুমিল্লা প্রভৃতি শহরে থাকেন।)”

একই আশঙ্কা করেছেন চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়। ১৭ সেপ্টেম্বর নিজ সার্কেলের কার্যালয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন, “চট্টগ্রাম, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে কর্মরত বা বসবাসরত পার্বত্য চট্টগ্রামের একাধিক পাহাড়ি ব্যক্তি তাঁদের জাতিগত বা ধর্মগত পরিচয়ের কারনে কটাক্ষ উক্তি, হুমকি এবং হিংসাত্মক ও অন্যান্যভাবে অনাকাংখিত আচরণের শিকার হয়েছেন মর্মে আমরা জেনেছি, এটা সংশয়ের বিষয়। এবং আমরা এ ব্যাপারে তীব্র নিন্দা জানাই”।

চাকমা সার্কেল প্রধান বলেন, “মায়ানমার সরকারের হাতে, বিশেষ করে সামরিক শাসনামলে, নিপীড়নের শিকার হয়েছে শুধু অ-বৌদ্ধ সম্প্রদায় নয়। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সংখ্যাগুরু বামার সম্প্রদায়, এবং শ্যান, রাখাইন, মোন, ক্যারেনসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নর-নারীও অত্যাচার ও বৈষম্যের শিকার হয়েছেন।”

উল্লেখ্য, বর্মী শাসকদের অত্যাচারে টিকতে না পেরে রোহিঙ্গাদের মতো চাকমারাও কয়েকশত বছর আগে বার্মা থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিলেন।

রোহিঙ্গা ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িকতা ছড়িয়ে দেয়ার বিষয়ে পাহাড়ী সন্ত্রাসীগুলোর সামাজিক গণমাধ্যমে উষ্কানীমূলক পোস্ট ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে দেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের সবগুলো গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্থলা বাহিনী সজাগ রয়েছে।

গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র পার্বত্যনিউজকে নিশ্চিত করেছে, বিষয়টি নিয়ে তারা সচেতন রয়েছেন। যেসব আইডি থেকে এ ধরণের উষ্কানী দেয়া হচ্ছে সেগুলো তারা নিয়মিত মনিটরিং করছেন।এমনকি রোহিঙ্গা ইস্যু পার্বত্য চট্টগ্রামের উপর কি ধরণের প্রভাব ফেলতে পারে সে বিষয়েও সরকারকে সচেতন করেছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন