রোহিঙ্গা শিবিরে কলেরা টিকা ক্যাম্পেইন শুরু

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

চতুর্থ রাউন্ডে উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রিত ৩০টি ক্যাম্পে কলেরা টিকা খাওয়ানো হচ্ছে। এবার এই কলেরা টিকা পাচ্ছে ২ লাখ ২৪ হাজার ৯৫১ জন। পাশাপাশি  রোহিঙ্গা শিবিরের আশপাশে অবস্থিত ১ লাখ ৩ হাজার ৬০৫ জন স্থানীয় জনগোষ্ঠীকেও এই টিকা খাওয়ানো হচ্ছে। এটি চলবে আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

শনিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে উখিয়ার বালুখালী ময়নাঘোনা রোহিঙ্গা শিবিরের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৪র্থ রাউন্ড কলেরা টিকা ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. আবুল কাশেম।

উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল মতিন। সঞ্চালনা করেন সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. রনজন বড়ুয়া রাজন।

এসময় আরও বক্তব্য দেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান, ডিজিএইচএস এর কর্মকর্তা ডা. এএসএম ইশতিয়াক, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তা খালিদ আল তাহির, ইউনিসেফ কর্মকর্তা ডা. এ এস এম মাইনুল হাসান। স্বাগত বক্তব্য দেন উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মান্নান।

তথ্যমতে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইতিপূর্বে তিনটি কলেরা টিকা ক্যাম্পেইন সম্পন্ন হয়েছে। চতুর্থ কলেরা টিকা ক্যাম্পেইন বাস্তবায়ন করছে স্বাস্থ্য বিভাগ ও ইউনিসেফ। এই রাউন্ডের কলেরা টিকা খাওয়াতে কাজ করছে ছয় সদস্যের ৭০টি দল। এছাড়া স্থানীয়দের খাওয়াতে কাজ করছে আরও ১২টি দল। ক্যাম্পে অবস্থিত স্বাস্থ্য সম্পর্কিত স্থাপনা গুলোতে এই টিকা খাওয়ানো হচ্ছে। টিকার আওতায় এসেছে ২০১৭ সালের পর আসা এক বছরের উপরের বয়সের রোহিঙ্গারা।

অক্টোবর ২০১৭ সালের পূর্বে এসেছেন এদের ১২ থেকে ২৩ মাসের শিশুদের জন্য এক ডোজ এবং ক্যাম্প নিকটবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে একডোজ করে টিকা খাওয়ানো হচ্ছে। আর আগে যারা দুই ডোজ টিকা পেয়েছে তাদেরকে আর টিকা দেয়া হচ্ছে না। এছাড়াও এক বছরের কোনো শিশুকে টিকা খাওয়ানো হচ্ছে না। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টিকা খাওয়ানো হবে। শুক্রবার বন্ধ থাকবে।

কক্সবাজারের সিভিল সার্জন বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ বদ্ধপরিকর। সহযোগী সংস্থার সহযোগিতায় ইতিমধ্যে তিনটি ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সাত লাখ রোহিঙ্গাকে কলেরা টিকা খাওয়ানো হয়েছে। এবার চতুর্থ ক্যাম্পেইনে ২ লাখ ২৪ হাজার ৯৫১ জনকে খাওয়ানো হচ্ছে। সাথে স্থানীয় এক লাখ তিন হাজার ৬০৫ জনকে খাওয়ানো হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন