Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

রোহিঙ্গা ফেরতে ৪ শর্ত সু চির

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

নীতিগতভাবে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফিরিয়ে নিতে আপত্তি নেই মিয়ানমারের। তবে কাদের ফেরানো হবে, সে বিষয়ে তারা কড়া শর্তের কথা বলেছে। খবর আনন্দবাজারের।

মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পার্মানেন্ট সেক্রেটারি ইউ কিইয়াও জেয়া শুক্রবার জানান, দেশের স্টেট কাউন্সিলার আং সান সু চি গত ১২ অক্টোবর এ নিয়ে দেশের নীতিগত অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। পুনর্বাসন এবং উন্নয়নের কাজও শুরু হচ্ছে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে আনার কাজ হবে চারটি শর্ত সাপেক্ষে। যারা সেই শর্ত পূরণ করতে পারবেন, শুধু তাদেরই ফিরিয়ে নেয়া হবে।

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে চারটি শর্ত দিয়েছে মিয়ানমার। এগুলো হল- রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দীর্ঘদিন বসবাসের প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে, যারা স্বেচ্ছায় রাখাইনে ফিরতে চাইবেন, পরিবারের কেউ মিয়ানমারে রয়েছেন তেমন প্রমাণ দেখাতে হবে এবং বাংলাদেশে কোনো বাচ্চা জন্মালে তার বাবা-মা উভয়েই মিয়ানমারের স্থায়ী বাসিন্দা প্রমাণ করতে হবে। তাহলে রোহিঙ্গাদের সে দেশে ফিরিয়ে নেয়া হবে বলে জানান ইউ কিইয়াও।

প্রশ্ন উঠেছে, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়ার পর প্রাণ বাঁচাতে যারা দেশ ছেড়েছেন, তাদের কাছে কী করে এই সব তথ্য-প্রমাণ থাকবে?

ইউ কিইয়াও বলেন, স্কুলে পড়া, হাসপাতালে চিকিৎসা, চাকরির নথি— এ সবের মতো কিছু প্রমাণ তো দেখাতেই হবে। না হলে ফেরত নেয়াটা মুশকিল। এবং এই প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষও!

শুক্রবার ইয়াঙ্গুনে ‘ভারত-মিয়ানমার সম্পর্কের আগামী দিন’ বিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন ইউ কিইয়াও।

কলকাতার ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল অ্যান্ড কালচারাল স্টাডিজ, ইয়াঙ্গুনের ভারতীয় দূতাবাস এবং মিয়ানমার প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর থিঙ্ক ট্যাঙ্কের বিশেষজ্ঞরাও যোগ দিয়েছেন এই সম্মেলনে।

কিন্তু শরণার্থী সমস্যার মতো মানবিক বিষয়ে মিয়ানমার সরকার কেন এত কড়া শর্ত চাপাচ্ছে? ওই কূটনীতিকের ব্যাখ্যা, রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা সমস্যা কেবলমাত্র মানবিক বিষয় নয়। নিরাপত্তাও একটা বড় কারণ।

মানবিকতার খাতিরে ক্ষমতায় এসেই সু চি কফি আনান কমিশন তৈরি করেছেন। রাখাইনে পুর্নবাসন-উন্নয়নের কাজ হাতে নিয়েছেন। এ সবও তো সরকারই করেছে।

সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’ (রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং)-এর সদ্য প্রাক্তন প্রধান রাজেন্দ্র খান্না।

তিনিও মনে করেন, রোহিঙ্গা সমস্যা শুধু মানবাধিকারের দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখলে চলবে না।

খান্না জানান, ২০০৪ সাল থেকে আইএসআই রাখাইনে সক্রিয়। পাকিস্তানি মদতেই মোহম্মদ ইউনুস ‘রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজে‌শন’ পত্তন করেন। পরে মুজাম্মিল এবং রাহিল নামে দুই লস্কর কমান্ডারকে আইএসআই বাংলাদেশ হয়ে রাখাইনে পাঠিয়েছিল। রোহিঙ্গা আন্দোলনকারীদের তারাই জঙ্গিপনার প্রশিক্ষণ দেয়।

আইএসআই-এর মদতেই পরবর্তীকালে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি’ বা আরসার জন্ম হয়। এই তল্লাটে উগ্রপন্থা বাড়লে ভারত-মিয়ানমার উভয়েরই সমস্যা হবে বলে মনে করেন প্রাক্তন ‘র’-প্রধান।

খান্নার সঙ্গে সহমত ইউ কিইয়াও। তার কথায়, রোহিঙ্গা জঙ্গিদের যারা মাথা, তাদের পরিবার কিন্তু পাকিস্তানেই বসবাস করে। সেখানে রোহিঙ্গা জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয় বলেও সংবাদ মাধ্যম বার বার খবর দিয়েছে।

আবার উত্তর-পূর্বের জঙ্গিদের যাতে মিয়ানমার ঘাঁটি করতে না দেয়, সে প্রসঙ্গও তুলেছেন ইয়াঙ্গুনে ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিস্রি।

তার কথায়, উন্নয়ন ও পরিকাঠামো ক্ষেত্রে দিল্লি বিপুল টাকা ঢালছে। কিন্তু সীমান্তে শান্তি না থাকলে সেই উন্নয়ন অর্থহীন।

সেই সূত্র ধরে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ বলেন, মোরে-তামু সড়ক পথে বাণিজ্যের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু তার জন্য শান্তিই হল প্রথম শর্ত।

সেই শান্তি এবং উন্নয়নের প্রস্তাব গুচ্ছ ‘ইয়া‌ঙ্গুন ঘোষণা’ নামে প্রকাশিত হবে বলে জানান আইএসসিএসের প্রধান অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। যা দুই সরকারই নীতি প্রণয়নে গ্রহণ করবে।

 

সূত্র: নতুন সময়

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন