রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে মৌলবাদী গোষ্ঠী অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে- দীপঙ্কর

নিজস্ব প্রতিনিধি:

“ধর্ম যার যার, উৎসব সবার” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রথম বারের মত রাঙ্গমাটিতে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে বিজয়া পূর্ণমিলনী ২০১৭ অনুষ্ঠিত হয়। এই উপলক্ষে শনিবার (৭ অক্টোবর) বিকালে রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউটে আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রাঙ্গামাটি জেলা উদ্যাপন পরিষদের আহবায়ক বাদল চন্দ্র দে’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার।

বিশেষ অতিথি হিসাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান তরুন কান্তি ঘোষ, জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা মাওলানা শাহজাহান, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য ত্রিদীপ কান্তি দাশ, হিন্দু কল্যাণ ট্রাষ্ট’র সহকারি পরিচালক বাবু লিটন চন্দ্র সরকার উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গামাটি জেলা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব স্বপন মহাজন।

আলোচনা সভায় দীপংকর তালুকদার বলেন, বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদ রাষ্ট্র হিসাবে চিহ্নিত করা এখন মৌলবাদীদের টার্গেট। রাঙ্গামাটিতে রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে মৌলবাদীরা একটি অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যখন পার্বত্য চট্টগ্রামে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছিল তখন পার্বত্য অঞ্চলের কিছু মানুষ এটাকে বড় করে দেখানোর চেষ্টা করেছে।

বিভিন্ন ধরনের গুজব তৈরী করতে চেয়েছে। কিন্তু সরকারের চোখ কান খোলা ছিল, তাই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে। যার কারণে এখানে যারা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাজানোর চেষ্টা করেছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সর্তক থাকার কারণে এবার শারদীয় দূর্গা উৎসব নির্বিঘ্নে পালিত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু মিয়ানমারের আভ্যন্তরীণ বিষয়। রোহিঙ্গা সংকট মিয়ানমার সরকারকেই সমাধান করতে হবে। মিয়ানমারের বিচ্ছিন্ন ঘটনার কারণে বাংলাদেশে রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটেছে। রোহিঙ্গা সংকট শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আলোচনার মাধ্যমে খুব শীঘ্রই সমাধান হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
আলোচনা সভা শেষে অতিথিরা বিজয়া পূর্ণমিলনীর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন