রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানো যাচ্ছেনা, কঠোর অবস্থানে বিজিবি
কক্সবাজার প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের এপারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের কড়া পাহারা। ওপারে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) গুলি বর্ষণের শব্দ। এই অবস্থায় প্রাণ বাঁচাতে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করছে। এদিকে সীমান্তে বিজিবির কঠোর নজরদারি থাকা সত্বেও কয়েক হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশের নো-ম্যানস ল্যান্ডে ঢুকে পড়ছে। তবে বিজিবির কঠোর অবস্থানের কারণে আজ সহ গত চার দিনে অন্তত সাড়ে পাঁচ শ’র বেশি রোহিঙ্গাকে সেদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জান যায়, মিয়ানমারের আরকান রাজ্যে সহিংসতার জের ধরে উখিয়া-টেকনাফ ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যছড়ি সীমান্তের অন্তত ১০ টি পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা। অনুপ্রবেশকারী এসব রোহিঙ্গাদের বেশিরভাগই বৃদ্ধ, নারী ও শিশু। গত তিনদিনে শুধুমাত্র বান্দরবানের ঘুনধুম সীমান্ত দিয়েই দুই হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। তবে অনেকটা প্রাণ হাতে নিয়ে কষ্টের পথ পাড়ি দিয়ে এদেশে ঢুকেই বাঁধার মুখে পড়ে বিজিবির। শুধুমাত্র ঘুনধুম সীমান্ত দিয়েই নো- ম্যান্স ল্যান্ডে ঢুকে চার-পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা বিজিবির হাতে আটকা পড়েছে। এসব রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত পাঠাতে বিজিবি সদস্যরা তাদের ঘিরে রেখেছে।
আজ ভোরে টেকনাফ সীমান্তের নাফ নদী পার হয়ে অনুপ্রবেশের সময় ১৪১ জন রোহিঙ্গাকে স্বদেশে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি। অন্যদিকে বাংলাদেশে ঢোকার জন্য ওপারে অবস্থান করছে অন্তত ২০ হাজার মানুষ। সীমান্ত পার হয়ে আসা রোহিঙ্গারা বলছেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী তাদের স্বজনদের আটক করে নিয়ে যাচ্ছে এবং নানাভাবে নির্যাতন করে হত্যা করছে।
এদিকে, গতকাল রোববার বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের কলাবাগান ও জলপাইতলীসহ জিরো পয়েন্টের বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন বিজিবি’র মহাপরিচালক জেনারেল আবুল হোসেন। সীমান্ত সীল করে দেয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে বিজিবি সদা সর্বোচ্চ প্রস্তুত রয়েছে এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে অতিরিক্ত সৈন্য বাড়ানোসহ কঠোর অবস্থানের কথা জানান বিজিবি মহাপরিচালক।
আজসহ গত চার দিনে সাড়ে পাঁচ শত এর বেশি রোহিঙ্গা এবং রোববার রাতে টেকনাফের থেকে ২ দালালসহ ৭৭ রোহিঙ্গাকে আটকের পর মিয়ানমারে ফেরত পাটিয়েছে বিজিবি।