রোহিঙ্গাদের বাঁচানো জরুরী


রামু প্রতিনিধি:
কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ সাইমুম সরওয়ার কমল বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান যেমন জরুরী তেমনি তাদের ত্রাণ সহায়তা দিয়ে বাঁচিয়ে রাখাও জরুরী। বর্তমানে ত্রাণের অভাবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে হাহাকার চলছে।

তিনি বলেন, ত্রাণের অভাবে ৬ লাখেরও বেশী রোহিঙ্গা মানবেতর সময় পার করছে। তারা এমনিতেই নির্যাতিত। মায়ানমারের আরাকান রাজ্য থেকে পালিয়ে এসব রোহিঙ্গাদের পরিবারের কেউ না কেউ নির্যাতনে প্রাণ হারিয়েছেন। অনেক পরিবারের সব সদস্যকেও হত্যা করা হয়েছে। নির্যাতন শুরুর পর থেকে বাংলাদেশ সরকার এবং সর্বস্তুরের মানুষ রোহিঙ্গাদের পাশে মানবিক সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলো। এখন সেই ত্রান ফুরিয়ে যাচ্ছে। বিদেশী ত্রান আসতেও বিলম্ব হচ্ছে। এ দায়িত্ববোধ থেকে রামুবাসী সম্মিলিতভাবে রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রান সংগ্রহ কার্যক্রম চালাচ্ছে।

সাংসদ কমল আরো বলেন, রোহিঙ্গা নিয়ে আমি রাজনীতি করতে চাই না। ইতিপূর্বে বন্যা, সিড়র, মোরা সহ প্রলংকরী ঘূর্ণিঝড় এবং নেপালে সংগঠিত ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য রামুবাসীর পক্ষ থেকে ত্রান দেয়া হয়েছিলো। রামুর মানুষ মানবিক। এখনো তা প্রমান হবে।  মায়ানমারে রাখাইনদের বর্বরোচিত গণহত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে এদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বর্তমানে খাবার, পানীয়, বাসস্থান, চিকিৎসাসহ নানা সংকটে জর্জরিত। নিপীড়িত, রোহিঙ্গাদের কারো গায়ে কাপড় নেই, কারো পেটে খাবার নেই।

সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল রামু উপজেলার চাকমারকুল ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ উপহার সংগ্রহ উপলক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। আজ শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কলঘর বাজারে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন, চাকমারকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার।

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রামু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রিয়াজ উল আলম বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য রামুবাসীর ত্রান সংগ্রহ ও প্রদানের উদ্যোগ একটি সময়োপযোগি পদক্ষেপ। কক্সবাজারের মাটি ও মানুষের প্রিয় নেতা এমপি কমল অতীতের মতো এবারও মানবিক বিপর্যয়ে এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন। ত্রান সংগ্রহ কার্যক্রমে রামুবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া মিলেছে। এভাবে ত্রাণ সংগ্রহ অব্যাহত থাকলে কদিন পরেই রামু থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য রেকর্ড পরিমান ত্রাণের বহর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নেয়া সম্ভব হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন