দেড় হাজার দক্ষ বেকারের কর্মসংস্থান করবে রামুর ‘হাইটেক পার্ক’: পরিদর্শনে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

ramu-news-pic-01-8-9

নিজস্ব প্রতিবেদক:

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, রামুর ডিজিটাল সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে। একুশ শতকের উপযোগী দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলতে রামুর চেইন্দায় এলাকায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৯ একর জায়গায় গড়ে তোলা হবে হাইটেক পার্ক। ট্যুরিজম উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে কক্সবাজারকে পরিচিত করাতেও রামুর হাইটেক পার্ক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের রামু উপজেলার চেইন্দা এলাকায় নির্মিতব্য হাইটেক পার্কের জায়গা পরিদর্শন কালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় কক্সবাজারের রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা এলাকায় নির্মিতব্য ডিজিটাল সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক (হাইটেক পার্ক) এর ৮ একর ৭ শতক জায়গা পরিদর্শন করেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

এ সময় প্রতিমন্ত্রীর সাথে ছিলেন, কক্সবাজার-৩ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (জেনারেল) আবদুর রহমান, রামু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম, ভারপ্রাপ্ত রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. নিকারুজ্জামান। হাইটেক পার্ক এর স্থান পরিদর্শন শেষে চেইন্দার বনতলা রাস্তার মাথা নামক স্থানে স্থানীয়দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ইউনুচ ভূট্টো এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন।

প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, দেশের শিক্ষিত যুব সমাজকে আইটি প্রশিক্ষনের জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে বর্তমান সরকার। ২০২১ সালের মধ্যে দেশে আইটি পেশাজীবির সংখ্যা ২০ লাখে উন্নীত করা হবে। এ পার্ক চালু হলে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষিত বেকারের চাকুরীর সুযোগ সৃষ্টি হবে। দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলতে সারাদেশে ১২টি আইটি পার্ক গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। তার মধ্যে কক্সবাজারের রামু ও মহেশখালীতে দু’টি ডিজিটাল সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটি একনেকে পাশ হলেই বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।

এ উপলক্ষে গত বুধবার বিকালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) লিভারেজিং ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড (এলআইসিটি) প্রকল্প আয়োজিত আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প’ ২০১৬ এর উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী। তখন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আউটসোর্সিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়। তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের আর্নিং প্রকল্পের অধীনে আউটসোর্সিংয়ের প্রশিক্ষণ দিয়ে ৫৫ হাজার ফ্রিল্যান্স তৈরী করা হচ্ছে। মানসম্মত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি খাতের বিকাশ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নকে এগিয়ে নিতে আইসিটি অবকাঠামো উন্নয়নসহ ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহন করেছে সরকার।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ-তরুণীদের আইটিতে ক্যারিয়ার গড়া এবং প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিগত সাড়ে ৩ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে অগ্রগতি সাধিত হওয়া তথ্য প্রযুক্তিখাতে বিরাট সম্ভবনা তৈরী করেছে। এ সম্ভবনাকে কাজে লাগিয়ে আপনাদেরই এগিয়ে আসতে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন