রামুতে কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে চলছে এলজিএসপি’র সড়ক নির্মাণ কাজ

ramu pic kormosrijon 11.04

নিজস্ব প্রতিনিধি:

রামুতে কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে চলছে এলজিএসপি-২ এর সড়ক নির্মাণ কাজ। ঘটনাটি ঘটেছে, রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের উত্তর মিঠাছড়ি প্রজ্ঞামিত্র বনবিহার এলাকায়।

উপজেলা কর্মসৃজন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, জোয়ারিয়ানালা ইউপি চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের সভাপতি স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্যার যোগসাজশে বড় ধরনের এ অনিয়মের ঘটনায় পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, সম্প্রতি এলজিএসপি-২ এর আওতায় ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে উত্তর মিঠাছড়ি এলাকায় অমিয় বড়ুয়ার বাড়ি হতে কমল বড়–য়ার বাড়ি পর্যন্ত ব্রিক সলিন সড়ক নির্মাণ কাজের প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আমিন উদ্দিন মনু জানান, গত দু‘দিন (৯ ও ১০ এপ্রিল) একই এলাকার মহিলা ইউপি সদস্য ফাতেমা বেগম তার কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের দিয়ে এলজিএসপি-২ এর সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু করেন।

গতকাল রবিবার দুপুরে ওই এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রজ্ঞামিত্র বন বিহারের পাশে অমিয় বড়–য়ার বাড়ি হতে কমল বড়ুয়ার বাড়ি পর্যন্ত ব্রিক সলিন সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে পুরোদমে কাজ করছিলো কর্মসৃজন প্রকল্পের ১৮ জন শ্রমিক। দু‘দিন ধরে মাটি কেটে এসব শ্রমিকরা সড়কটি ইট বিছানোর উপযোগি করে গড়ে তোলে। শ্রমিকরা জানিয়েছে, মহিলা মেম্বার ফাতেমা বেগমের নির্দেশে তারা ইট বিছানোর জন্য এ সড়কের মাটি কাটছেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, ফাতেমা বেগম উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জোবায়ের হাসান এবং জোয়ারিয়ানালা ইউপি চেয়ারম্যান এমএম নুরুচছাফার সাথে যোগসাজশ করে গত ৯ এপ্রিল শুরু হওয়া কর্মসৃজন প্রকল্পের ১৮ জন শ্রমিক দিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে এলজিএসপি-২ এর আওতাধিন ব্রীকসলিন সড়ক নির্মাণ কাজে নিয়োজিত করে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে জনমনে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়।

এলজিএসপি-২ এর ব্রীকসলিন সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের সভাপতি মহিলা ইউপি সদস্য ফাতেমা বেগম জানিয়েছেন, সড়ক করার জন্য মাটি কেটেছি, এটা তেমন কিছু না। তিনি মূল বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এদিকে বিষয়টি জানার পর রবিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টির সত্যতা পান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জোবায়ের হাসান।

তিনি জানান, সড়কে যে পরিমাণ মাটি কাটা হয়েছে, সে পরিমাণ মজুরির অর্থ এলজিএসপি’র বরাদ্ধ থেকে বাদ দেয়া হবে। তবে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আসার পূর্বে ওইসব শ্রমিকদের এলজিএসপি’র সড়ক থেকে কৌশলে সরিয়ে নেয়া হয়।

রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিনা কাজী জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন